রামনবমীর মিছিলে অস্ত্রের আস্ফালনের বিরুদ্ধে যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের লাথি মেরে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবার ব্যারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের বেদিতে মালা দিতে যান দিলীপ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘রামনবমী-র মিছিলে অস্ত্র নিয়ে বেরনো হবেই। যাদের তা সহ্য হচ্ছে না, তাদের জন্য বেনাপোল, পেট্রাপোল, ওয়াঘা সীমান্ত খোলা রয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘নিজেরা না গেলে লাথ মেরে পাঠিয়ে দেব। দিদির পুলিশ যতই কেস করুক, এখানে বাবর-তালিবানের রাজত্ব চলবে না। রাম রাজত্ব চলবে।’’
দিলীপের মন্তব্য যে শালীনতার সীমা ছাড়িয়েছে, তা নিয়ে সংশয় নেই। বস্তুত রাজনৈতিক সভা থেকে অশালীন মন্তব্য করার ব্যাপারে বাংলায় তাঁর জুড়িও নেই। বিজেপি নেতারাই বলেন, কুকথা আওড়ে বিতর্কে থাকতে চান দিলীপ। সেটাই প্রচারে থাকার সহজ উপায়।
তবে এ দিনের বিতর্ক সেখানেই থেমে থাকেনি। শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে সাংবাদিক বৈঠকে হাসিনা জানান, বাংলাদেশের মাটিতে কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হতে দেবে না তাঁর সরকার। আবার মোদীও বুঝিয়ে দেন, মৌলবাদী শক্তিগুলিকে দমন করতে হাসিনা সরকারের আন্তরিকতা দেখে নয়াদিল্লিও আশ্বস্ত। পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘বেনাপোল-পেট্রাপোল’ সীমান্ত খোলা রয়েছে বলে দিলীপ প্রকারান্তরে প্রধানমন্ত্রীর মতকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রাতে দিলীপ অবশ্য বিতর্ক লঘু করার চেষ্টায় বলেন, ‘‘এই দিদি মৌলবাদীদের দমন করতে পারছেন না, ওই দিদি তা পেরেছেন, তাই সেখানে পাঠানোর কথা বলেছি।’’