কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করে দু’দিন আগে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন চন্দননগরের তরুণী মানালি ঘোষ। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাট থেকে অবশেষে তাঁর দেহ উদ্ধার হল।
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত হবে। চন্দননগর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে আটক করা হয়েছে মমতা দাস নামে এক মহিলাকে। মানালি যে দোকানে কাজ করতেন, সেই দোকানের মালিকেরই স্ত্রী মমতা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে চিঠি লিখে নদীর পারে সেটা মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন চন্দননগরের বৌবাজার বটতলার বাসিন্দা বছর পঁচিশের মানালি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলের ঠিক উল্টো দিকে (পাতালবাড়ির কাছে) গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ওই যুবতী। পরে তাঁর পরিচয় জানা যায়। নদীর পারে পাওয়া যায় তাঁর মোবাইল এবং একটি চিঠি। পুলিশ মনে করছে, সেটি সুইসাইড নোট। তাতে কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার কথা লেখা ছিল।
গত তিন বছর ধরে চন্দননগর বাগবাজারে জিটি রোডের পাশের একটি গয়নার দোকানে ‘সেল্স গার্ল’-এর কাজ করতেন মানালি। অভিযোগ, দিন তিনেক ধরে কর্মস্থলে কোনও সমস্যা হচ্ছিল যুবতীর। স্থানীয়েরা জানান, কিছু দিন আগে দোকানের বাইরে বসে তাঁকে কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বার হন মানালি। তার পরেই ওই ঘটনা।
পরিবার সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয় মানালির। আগামী বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। পাত্রের নাম সত্যজিৎ রায়। বৌবাজারের শীতলাতলার বাসিন্দা তিনি। পরিবারের লোকজন মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।