বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বেলশুলিয়া গ্রামের ঘটনায় প্রায় ১৮ জন কর্মী-সমর্থক আহত বলে সিপিএমের দাবি। নিজস্ব চিত্র
সিপিএমের মিছিলে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বেলশুলিয়া গ্রামের ঘটনায় প্রায় ১৮ জন কর্মী-সমর্থক আহত বলে সিপিএমের দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দিল্লির কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরের খড়কাটা থেকে জামশুলি পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি আগাম পুলিশকেও জানানো হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই মিছিল বেলশুলিয়ায় শাসকদলের কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছলে তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ও ইটবৃষ্টি শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।’’ এই ঘটনায় গুরুতর আহতদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আহত সিপিএম বাঁকাদহ শাখা সম্পাদক রেজাব আলি খান বলেন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই সিপিএমের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর এই আক্রমণ।’’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন ঘোষের অভিযোগ, ‘‘মিছিলের আগে গতকাল থেকেই তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বোমা ফাটিয়ে ভয় দেখাচ্ছিল । ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও জনা আটেক দুষ্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাদের সামনে ইট ও বোমা নিয়ে আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ হয়েছে।’’
তৃণমূল কংগ্রেস বিষ্ণুপুর ব্লক সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে তাঁর অভিযোগ, সিপিএমের লোকেরাই তাঁদের অফিস ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনায় সিপিএম মিথ্যা ভাবে তাদের নাম জড়াচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: মমতা-সরকারের প্রতি অনাস্থায় বিজেপি-ছুঁতমার্গ নেই বাম-কংগ্রেসের
আরও পড়ুন:চূড়ান্ত নাটক! মঞ্চে উঠেও গেরুয়া পতাকা নিলেন না কেঁদে ভাসানো সেই নেতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy