অর্জুন সিংহ এবং মদন মিত্র। —ফাইল চিত্র।
ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে অর্জুন সিংহকে গৃহবন্দি করার আবেদন জানালেন তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। সোমবার ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি। সেখানে মদন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভাটপাড়ায় ভোটের দিন অর্জুন রাস্তাঘাটে ঘুরে বেরালে অশান্তি বাড়বে। মানুষ ভয়ে ভোট দিতে বেরোবেন না। এই দাবিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের অফিসে ধর্না দেবেন বলেও জানান মদন।
যদিও মদনের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অর্জুন। তিনি বলেন, ‘‘মদন মিত্র কি রাষ্ট্রপতি নাকি, যে ও যা বলবে তাই শুনতে হবে? আমি ভাটপাড়ার ভোটার। আমি কী করব, সেটা অন্য কেউ কেন ঠিক করে দেবে? আসলে ওরা ভোটে অশান্তি পাকাতে চাইবে। সে জন্য আমার উপস্থিতি ওদের গাত্রদাহ হয়ে উঠছে।’’
মহকুমাশাসকের কাছে অর্জুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়ে মদন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘নজরবন্দি নয়। আমি চেয়েছি অর্জুনকে গৃহবন্দি করা হোক। সেখানে তাঁকে পুলিশ পাহারায় রাখা হোক। বাড়ির ভিতর কী করলেন, না করলেন সেটা তাঁর বিষয়। তিনি ভাটপাড়ার ভোটার। নিজের ভোট দেওয়ার সময়টুকু ছাড়া তাঁকে বাড়িতেই থাকতে হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কেন এমন দাবি করছেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেন মদন। তাঁর দাবি, বিজেপি বারাণসী, খিদিরপুর, হাওড়ার ফোরসোর রোড থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে ভাটপাড়ার বিভিন্ন চটকলে রেখে দিয়েছে। তারা রাস্তাঘাটে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। এমন কিছু ছবিও এ দিন মহকুমাশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন মদন। তাঁর দাবি, অর্জুন নিজে প্রার্থী নন। প্রার্থীর এজেন্ট নন। এমনকী, পোলিং এজেন্টও নন। একজন সাধারণ ভোটারের যেমন ভোটের দিন বুথে বুথে ঘুরে বেরানোর কোনও অধিকার থাকে না, এ ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম মানা হোক। মদন বলেন, ‘‘অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তিনি যদি ভোটের দিন ওই বাহিনী নিয়ে ঘোরেন, তা হলে ভোটারদের নানা ভাবে প্রভাবিত করা হবে।’’ গত বিধানসভা ভোটের কথা মনে করিয়ে মদন বলেন, ‘‘সে সময়ে আমি পিজি হাসপাতালে ভর্তি। আমার বেডের পাশে চারজন পুলিশ পাহারা দিয়েছিল। সেই ভোট আমার মনে আছে। এ ক্ষেত্রেও তেমন হোক।’’
মদনের এই অভিযোগকে কটাক্ষ করে অর্জুন বলেন, ‘‘ওরা তো এফআইআরের দল। শুধু এফআইআর করে টিঁকে রয়েছে।’’
জবাবে মদন বলেন, ‘‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ই তো করব। আর কী করব? মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানালাম। এরপরে নির্বাচন কমিশনকেও জানাব। সব শেষে অভিযোগ জানাব মানুষের কাছে। তার পরে মানুষ কী করবেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার।’’
এরপরে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মদন বলেন, ‘‘আপনারা ঘাটালের নির্বাচন দেখেছেন। মানুষ যদি কিছু করে, তা হলে আমরাও কী করব? আমরা তো আইন হাতে নেব না।’’ মদন অভিযোগ করেন, জুটমিলের প্রচুর কর্মী বিহার, উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। বিজেপি তাদের ভোটের সচিত্র পরিচয়পত্র রেখে দিয়েছে। সেগুলি ব্যবহার করে বাইরের লোকেদের ভোট দেওয়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy