নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে অন্তর্বর্তী জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। ইডির মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন মঞ্জুর হল তাঁর। হাই কোর্ট জানিয়েছে, চিকিৎসা সংক্রান্ত এবং মানবিক কারণেই অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। অন্য কোনও মামলা না থাকায় আপাতত অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলায় জামিন দেওয়া হলেও বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধির উপর নজর রাখবে সিবিআই। নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা মোতায়েন থাকবেন। চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও কাজে বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি বা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখাও করতে পারবেন না সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর দু’টি মোবাইল নম্বর সিবিআইকে দিয়ে রাখতে হবে। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মার্চের শেষ পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন:
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দু’টি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে আদালত উদ্বিগ্ন। অভিযুক্তের চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করা দরকার। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হলে তার দায় কে নেবে? মামলার মূল বিষয় আদালত আপাতত বিবেচনা করছে না। শুধুমাত্র চিকিৎসা সংক্রান্ত এবং মানবিক কারণে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হওয়া উচিত বলে আদালত মনে করছে। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং অস্ত্রোপচার করাতে পারবেন অভিযুক্ত মামলাকারী।
মঙ্গলবার সুজয়কৃষ্ণের হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের তরফে ছিলেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল ধীরজ ত্রিবেদী।
মাঝে শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সুজয়কৃষ্ণকে। তবে বর্তমানে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রেসিডেন্সি জেলেই রয়েছেন। অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনাও ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছে সিবিআই। অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা আগেই সংগ্রহ করেছিল।