রাজ্যে চলতে থাকা নার্সিং কলেজগুলির বিস্তারিত তথ্য তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছেন, এ রাজ্যে মোট কত নার্সিং কলেজ রয়েছে, সেখানে কী ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, কত পড়ুয়া রয়েছেন, নিয়মবহির্ভূত ভাবে চলছে কিনা কলেজগুলি, এমন একাধিক বিষয়ে অডিট করবে রাজ্যের নার্সিং কাউন্সিল। আগামী ছ’মাসের মধ্যে অডিট করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কাউন্সিলকে। এর পাশাপাশি বিচারপতির আরও নির্দেশ, অডিটে কোনও কলেজ বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গরমিল বা বেনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেই কলেজগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপকরবে কাউন্সিল।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিরুদ্ধে পড়ুয়া ভর্তি ও প্রথম বর্ষের ক্লাস নেওয়ার পর কলেজের পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই কলেজে ভর্তি হওয়া পড়ুয়ারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। এ দিন কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টিদের তরফে আদালতে জানানো হয় যে পড়ুয়ার অভাবে কলেজ চালাতে অপরাগ তারা।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, রাজ্যজুড়ে কত নতুন কলেজ খুলছে আর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার কোনও পরিসংখ্যান নেই। হাজার হাজার ছেলেমেয়ে মোটা টাকা দিয়ে কলেজগুলিতে ভর্তি হচ্ছেন, অথচ ব্যবসা না চললেই কলেজ বন্ধ করে দিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যাঁরা ভর্তি হয়েছেন তাঁদের কোনও দায়িত্বও নেওয়া হচ্ছে না। এভাবে প্রশাসনের কোনও নজরদারি ছাড়া পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যবসা চলতে পারেনা বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।
তাঁর তরফে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, এক লক্ষ টাকা করে নার্সিং কাউন্সিলে জমা দেবেন কলেজের ট্রাস্টিরা। সেই টাকায় মামলাকারী পড়ুয়াদের অন্যত্র ভর্তি হওয়ার ব্যবস্থা করবে নার্সিং কাউন্সিল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)