Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Municipality Recruitment Scam

তদন্তের গতি এত কম কেন? পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির রিপোর্টে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাই কোর্ট

নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় ইডির তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ হাই কোর্টের। ইডির আইনজীবীর যুক্তি, এই মামলায় মূল তদন্ত করছে সিবিআই। তাই ওই সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর ইডির পদক্ষেপ নির্ভর করে।

image of high Court

ইডির তদন্ত রিপোর্টে নতুন কিছু নেই জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ হাই কোর্টের। — ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ ১৩:৩৬
Share: Save:

পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিন‌্হার মন্তব্য, ‘‘এই রিপোর্ট একেবারেই সন্তোষজনক নয়! রিপোর্টে নতুন কী রয়েছে তা পরিষ্কার নয়! রিপোর্টে উল্লেখ করা সব পদক্ষেপই আদালতের আগের নির্দেশে রয়েছে। এখন নতুন কিছু দেখতে পেলাম না। তদন্তের গতি এত কম কেন?’’ অন্য দিকে, এই মামলায় শুক্রবার আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। তারা আরও সময় চেয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ, আগামী শুনানিতে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগামী ১৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

শুক্রবার বিচারপতি সিন‌্হার একক বেঞ্চে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় ইডি। সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। ইডির আইনজীবীর যুক্তি, এই মামলায় মূল তদন্ত করছে সিবিআই। তাই ওই সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর ইডির পদক্ষেপ নির্ভর করে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত রয়েছে। আদালতে পেশ করতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দায়ের করেছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানায়, ওই এসএলপি প্রত্যাহার করা হবে। বিচারপতি সিন‌্হা রাজ্যের এই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এসএলপি করলেন। আবার তা প্রত্যাহারও করে নিলেন। এটা কী ধরনের অবস্থান? বিনা পয়সায় মামলা হচ্ছে? কাদের টাকায় এই মামলা হচ্ছে?’’

গত ১৯ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ইডির তরফে দাবি করা হয়, তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে এ-ও জানা যায়, জেরায় অয়ন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। এর পরেই আতশকাচে আসে পুরনিয়োগ দুর্নীতি। বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে তিনি পুরসভায় দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে এই মামলার এজলাস বদল হলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট। বিচারপতি সিন‌্হাও সিবিআই তদন্তই বহাল রাখেন। এ বার বিচারপতি ইডির রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। সিবিআইকেও পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court Municipality Recruitment Scam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE