আলোরানি সরকার। নিজস্ব চিত্র।
ভোটে পরাজয়ের পরে তৃণমূল প্রার্থী হাই কোর্টে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা করতে। পাল্টা কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল। এমনকি, নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই তৃণমূল প্রার্থীর ‘বেআইনি’ কাজের তালিকাও তুলে ধরল আদালত।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আলোরানি সরকার। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে তিনি হেরে যান। এর পর দল তাঁকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ দেয়। পরে সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে গোপাল শেঠকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটে হেরে সেই সময় স্বপনের জয়কে চ্যালেঞ্জ করে আলোরানি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
শুক্রবার হাই কোর্ট ওই মামলাটি খারিজ করে দেয়। তবে শুনানির সময় আদালতকে জানানো হয়, আলোরানি বাংলাদেশের ভোটার। ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। হাই কোর্টে বিষয়টি সানমনে আনে বিজেপি বিধায়ক স্বপনের আইনজীবী অরিন্দম পাল। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে মামলাটি ওঠার পর অরিন্দম জানান, বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে আলোরানির। এ বিষয়ে আদালতে তথ্যপ্রমাণও দেন তিনি। মামলাকারী আলোরানি সেই তথ্যের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।
এর পরেই বিচারপতি জানান, ভারতের সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও জায়গা নেই। ফলে মামলাকারী নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতে পারেন না। তিনি দেশের নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। আদালত এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আলোরানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy