অমিত শাহ। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
ধর্মতলায় বিজেপির সভায় অমিত শাহকে আনতে চান বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তবে সেই সভা আদৌ হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত সোমবার হবে কলকাতা হাই কোর্টে। পুলিশের কাছ থেকে সভার অনুমতি না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। হাই কোর্ট জানিয়েছে, সোমবার দুপুরেই এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য শোনা হবে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হবে ধর্মতলায় পদ্মের শাহী সভা হবে কি না।
সোমবার দুপুর ২টোয় মামলাটি উঠবে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এর আগেও তিনি বিজেপির মামলায় নিরপেক্ষ বিচার করেছেন বলে দাবি বিজেপির। তাই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের আশা এ বারও সব দিক খতিয়ে দেখেই বিচারপতি সুবিচার করবেন।
আগামী ডিসেম্বরে কলকাতার ব্রিগেডে সভা করতে আসবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগে ২৯ নভেম্বর ধর্মতলা চত্বরে আরও একটি সভার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাবদ রাজ্যের পাওনা টাকা দিল্লি আটকে রেখেছে, এই অভিযোগে তৃণমূল যে আন্দোলন করছে, তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির এই সমাবেশ। আর সেই সমাবেশেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে আনতে চান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ শুভেন্দু অধিকারীর মতো বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সুকান্ত এ ব্যাপারে নিজে দিল্লি গিয়ে কথাও বলে এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।
গত অক্টোবর মাসেই এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে দিল্লিতে বিক্ষোভ এবং পরে কলকাতায় রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি করার সময়েই গত ৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনের উপস্থিতিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। কিন্তু সেই সভার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপি এই সমাবেশে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে করতে চায়। ঠিক যেখানে প্রতি বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হয় তৃণমূলের। সেই মর্মে বিজেপি আবেদন জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। তবে অনুমতি না পেলে যে তাঁরা আদালতে যাবেন তা-ও আগেই জানিয়ে রেখেছেন সুকান্ত, শুভেন্দুরা। বিজেপির আশা, আদালত থেকে ওই জায়গায় সমাবেশের অনুমতি আদায় করা যাবে।
উদাহরণ হিসাবে পুরনো ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা বলেছে, অতীতেও রাজ্য বিজেপি এক বার ওখানে সভা করতে চাইলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। রাহুল সিংহ রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ে শেষ পর্যন্ত আদালত থেকে সেই অনুমোদন পেয়েছিল বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy