Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta High Court

ছেলেকে চোরাপথে স্কুলে চাকরি প্রধান শিক্ষকের! সিআইডি তদন্তে অসন্তুষ্ট হাই কোর্ট তলব করল রিপোর্ট

সিআইডিকে আদালতের প্রশ্ন, কেন অভিযুক্ত এবং বহিষ্কৃত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে এখনও গ্রেফতার করা গেল না? কী ভাবে এত দিন তিনি বেতন পেতেন? কার বদান্যতায় সেটা হল?

Calcutta High Court’s justice Biswajit Basu disappointed over CID in recruitment scam in a Murshidabad School

সিআইডির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৫
Share: Save:

মুর্শিদাবাদের গোথা এআর হাই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের তদন্তে সিআইডির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাই কোর্ট। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে মেমো নম্বর জাল করে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আগেই এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার তাঁর মন্তব্য, “সিআইডির ভূমিকায় আমি একেবারে সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। এ ভাবে তদন্ত চললে সিআইডির ডিআইজিকে ডেকে পাঠাব। প্রয়োজনে আদালতের পর্যবেক্ষণ সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেব। সেটা কিন্তু ভাল হবে না।”

বিচারপতি আরও বলেন, “মামলাকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। আমি সিআইডির উপর ভরসা করেছিলাম। তার এই পরিণাম। এমন কড়া মন্তব্য করতে বাধ্য করবেন না যাতে সিআইডির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।” আদালতের প্রশ্ন, কেন অভিযুক্ত এবং বহিষ্কৃত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে এখনও গ্রেফতার করা গেল না? কী ভাবে এত দিন তিনি বেতন পেতেন? কার বদান্যতায় সেটা হল? কেন এখনও তার সন্ধান পেল না সিআইডি? আগামী ৬ এপ্রিল এই বিষয়ে আবারও রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট। সোমবার শুনানিতে সিআইডি জানায়, অনিমেষ এ রাজ্যে নেই। তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন কখনও উত্তরপ্রদেশ, কখনও বা বিহার দেখাচ্ছে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভবানী ভবনে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আশিসকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। কিন্তু আশিসের ছেলে অনিমেষ অধরাই থেকে যান। সুতির স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে আশিসের ছেলে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন, এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা হয়। সেই মামলারই তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আশিসের কাছে মূলত তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল। এক, তিনি নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশপত্রের মেমো নম্বর-সহ তথ্য ডিআই অফিসে জমা করেছিলেন কি না। দুই, যে বছর অনিমেষের নিয়োগ হয়, সেই বছর কোনও চাকরির পরীক্ষা হয়নি। তা সত্ত্বেও কী ভাবে স্কুলে চাকরি পেলেন অনিমেষ? তিন, অনিমেষের নিয়োগে স্কুল পরিচালন সমিতির কী ভূমিকা ছিল? তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি ছিল। তদন্তেও অসহযোগিতা করছিলেন। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court CID Recruitment Scam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE