ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক তপনকুমার জানা। বর্ধমানের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিল (এনএমসি)-এ ‘অ্যাসেসর’ বা মূল্যায়নকারী হিসাবেও নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কর্নাটকের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে এনএমসি থেকে সাজানো রিপোর্ট পাইয়ে দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার হয়েছেন চিকিৎসক।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে ধরা পড়েছেন তিনি। একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে সাজানো রিপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। গত শনিবারই কর্নাটকের বেলাগাভির ওই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ-সহ তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।
ওই মামলার তদন্তে শনিবার রাত ১১টা নাগাদ সিবিআইয়ের ৮ জনের একটি প্রতিনিধিদল বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুরের হাতিশাল এলাকায় যায়। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পর্যন্ত ওই অভিযান চলে। যদিও তদন্তকারীদের তল্লাশির সময়ে ওই চিকিৎসক বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী, পেশায় চিকিৎসক বাড়িতে ছিলেন। পরে সিবিআই জানায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক তপনকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। সেই ফাঁদেই ঘুষ নেওয়ার সময় ধরা পড়ে যান মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের চিকিৎসক।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনার তদন্তে শুধুমাত্র বর্ধমানেই নয়, কলকাতা এবং কর্নাটকের বেলগাঁওয়েও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। ঘুষের ১০ লক্ষ টাকা ছাড়াও তল্লাশি অভিযানের সময় আরও প্রায় ৪৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। সব মিলিয়ে ৫৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথিপত্রও।