তদন্ত চলছে: বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদির দেহ কী ভাবে পড়ে ছিল, সিবিআই আধিকারিকদের তা দেখাচ্ছেন বীরভূমের কাঁকরতলা থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম। শনিবার নবসন গ্রামে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত
রাজ্যে ভোট-পরবর্তী অশান্তির ঘটনার তদন্তে শনিবার রাজ্যের নানা প্রান্তে অভিযান চালাল সিবিআইয়ের একাধিক দল। ভোট-পরবর্তী অশান্তি নিয়ে এ দিন ১০টি নতুন মামলাও দােয়র করেছে সিবিআই। এ দিন বিভিন্ন ঘটনাস্থল এবং অভিযোগকারীদের বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। কিছু জায়গায় একেবারে মাপজোকও করতে দেখা গিয়েছে তদন্তকারীদের। এরই মধ্যে নদিয়ার চাপড়ায় সিবিআইয়ের দলকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
এ দিন বেলা পৌনে একটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় বিআরএস কলোনির বাসিন্দা কমল মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের দল। অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন রাতে কমলবাবুর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। কমলবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের পাশাপাশি কমলবাবুর বৃদ্ধা মা শোভারানি মণ্ডলকেও বাঁশপেটা করা হয়। সেই রাতেই কল্যাণীর একটি হাসপাতালে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের যুক্ত থাকার অভিযোগ করে বিজেপি। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তৃণমূলের এক ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের দাদাকে গ্রেফতারও করেছিল জগদ্দল থানা।
স্থানীয়েরা জানান, এ দিনি প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা কমলবাবুর বাড়িতে ছিল সিবিআইয়ের দলটি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, জায়গার মাপজোক করে তারা। পরিবার সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। তাতে ঘটনার ছবি ধরা পড়ে। সেই ছবি খতিয়ে দেখার জন্য ক্যামেরাটি সংগ্রহ করেছে সিবিআই। পরিবারের চার সদস্যকেও নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যান তদন্তকারীরা।
বেলা আড়াইটে নাগাদ সিবিআইয়ের আর একটি দল বীরভূমের কাঁকরতলা থানার নবসন গ্রামে যায়। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের অশান্তিতে তাঁদের কর্মী মিঠুন বাগদি খুন হয়েছেন। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, একটি পথ দুর্ঘটনা নিয়ে শত্রুতার জেরে খুন হয়েছেন মিঠুন। তার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। এ দিন গ্রামে মিঠুনের কোনও পরিজন ছিলেন না। কাঁকরতলা থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম রাস্তায় শুয়ে মিঠুনের দেহ কী ভাবে পড়েছিল তা দেখান সিবিআই অফিসারদের। সন্ধে নাগাদ সিবিআইয়ের দলটি ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের তদন্তে গিয়েছিল।
শুক্রবারই বাঁকুড়ার ইন্দাসের নিহত বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাসের পরিবারের সঙ্গে শুক্রবার সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা কথা বলেছিলেন। এ দিন পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষের গোপালবেড়া গ্রামে যান (সেখানেই ৫ মে একটি গাছে অরূপের ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল)। তদন্তকারীরা গাছের উচ্চতা মেপেছেন এবং কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ৮ মে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের রায়বাঘিনি গ্রামের একটি পুকুরের পাশে বিজেপি কর্মী কুশ ক্ষেত্রপালের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এ দিন ওই পুকুর ও লাগোয়া বিভিন্ন জায়গার জায়গার ছবি তোলেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy