Advertisement
E-Paper

‘দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ২৯ জনকে রাতারাতি চাকরি’! পাচু রায়ের বিরুদ্ধে কোর্টে চার্জশিট জমা সিবিআইয়ের

আলিপুর সিবিআই আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর জমা দেওয়া চার্জশিটে পাচু ছাড়াও নাম রয়েছে অয়ন শীলের। অয়নের সূত্র ধরেই পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১২:২৯
দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়। —ফাইল চিত্র ।

কোভিডের আবহে রাতারাতি ২৯ জনের চাকরি হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়ে তেমনটাই দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কোভিডের সময় দক্ষিণ দমদম পুরসভায় রাতারাতি ২৯ জনের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনে হয়নি বলেই দাবি সিবিআই আধিকারিকদের। যদিও এই চাকরিগুলি টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়ে চার্জশিটে কোনও উল্লেখ নেই বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে বলেও সিবিআইয়ের ওই সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, আলিপুর সিবিআই আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর জমা দেওয়া চার্জশিটে পাচু ছাড়াও নাম রয়েছে অয়ন শীলের।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্র ধরে প্রমোটার অয়ন শীলের নাম প্রকাশ্যে আসে। ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখ। সল্টলেকে অয়নের অফিস এবং হুগলিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময় দিস্তা দিস্তা ওএমআর শিটের পাশাপাশি, ২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা। আপাতদৃষ্টিতে তা প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায়, ওই নথির মধ্যে রয়েছে একাধিক পুরসভার প্রার্থিতালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। বাজেয়াপ্ত সেই নথির মধ্যে প্রার্থিতালিকায় থাকা নামের পাশে বেশ কিছু ‘কোড ওয়ার্ড’ পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বাজেয়াপ্ত ২৮ পাতার নথির মধ্যে ছিল বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগের সংক্রান্ত প্যানেলের প্রার্থীর তথ্যাবলি। উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম-সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্যও ছিল ওই নথিতে। পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, মজদুর, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্লার্ক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, হেল্পার, ড্রাইভার-সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ওই নথিতে ছিল।

সেই সূত্র ধরেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পাচুর নাম উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। এই নিয়ে একাধিক বার ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পাচু। তাঁকে তলব করা হয়েছিল সিবিআইয়ের কলকাতার দফতর সিজিও কমপ্লেক্সেও। এ বার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিবিআই।

Municipality Recruitment Case Scam South Dumdum Municipality CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy