প্রতীকী ছবি।
কয়লা পাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে সিআইডি বা রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিশও মামলা দায়ের করেছে। সিআইডি-র সেই মামলার এক সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি-সহ তদন্তের যাবতীয় নথি হাতে পাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করতে চলেছে সিবিআই।
অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলন নিয়ে সিবিআই আসানসোলের বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে বছর দুই আগে। সেই মামলায় রাজ্য পুলিশের একাধিক পুলিশকর্তা ও নিচু তলার অফিসার এবং রাজ্যের কয়েক জন প্রভাবশালী নেতার যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। তদন্তে নেমে ইসিএলের কয়েক জন প্রাক্তন ও বর্তমান কর্তাকে গ্রেফতারও করে তারা। কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা এবং একাধিক পুলিশকর্তাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডেকে পাঠানো হয় নিচু তলার পুলিশ অফিসারদের। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকেও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই মামলাতেই মাস দুই আগে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বর্ধমানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। রাজভবনে মন্ত্রীর নিবাসে মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর দু’টি মোবাইল।
সিবিআইয়ের পাশাপাশি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কয়লা পাচার নিয়ে বর্ধমানের অন্ডাল, বরাবনি ও জামুড়িয়া থানায় দায়ের করা পুরনো মামলার তদন্ত নতুন করে শুরু করে সিআইডি। ইসিএলের তরফে ওই তিন থানায় অবৈধ ভাবে কয়লা তুলে তা পাচারের বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সম্প্রতি সিআইডি-র তরফে বরাবনি থানার মামলাটির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, ওই থানার মামলার সমস্ত নথি হস্তান্তর করার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। সিবিআইয়ের এক তদন্তকারী জানান, ওই মামলায় ইসিএলের এক নিরাপত্তাকর্মী সিআইডি-র কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ওড়িশায় কর্মরত। তদন্তকারীদের দাবি, গোপন জবানবন্দিতে কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত একাধিক পুলিশকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের খবর, আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সিআইডি-র তদন্তে উঠে এসেছিল। তাই মামলার সমস্ত নথি হস্তান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy