নেতা: দলীয় কর্মীদের সঙ্গে জেপি নাড্ডা। নিজস্ব চিত্র
ফালাকাটা, মাদারিহাট, বীরপাড়া ও নাগরাকাটা বিধানসভার বিজেপির ছ’টি মণ্ডল কমিটির সম্পাদক ও সভাপতিদের নিয়ে শনিবার বীরপাড়ায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। আগামী পঞ্চায়েত ভোট ও পরে লোকসভা ভোটে দলকে চাঙ্গা করতেই এই বৈঠক বলে বিজেপি সুত্রে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ডুয়ার্সের বীরপাড়া-মাদারিহাট বিধানসভা। এখানে বিধায়কও বিজেপির। ঘাঁটি যেন মজবুত থাকে, তার জন্য বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীরা ঘন ঘন বীরপাড়ায় যাচ্ছেন। গত বিধানসভায় ভোটের নিরিখে মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের বেশির ভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে বিজেপি তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তাই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখলের লক্ষ্যে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরাও বারবার বীরপাড়ায় আসছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখও নাড্ডা বীরপাড়ায় এসেছিলেন। তারপর এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মাদারিহাট-বীরপাড়া বিধানসভায় মোট ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে ২১৮ টি বুথের মধ্যে প্রায় ১৫০ টি বুথে বিজেপি এগিয়ে ছিল। এ দিন বৈঠকের পরে মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, “তিন বিধানসভার মন্ডল কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে দলের অবস্থান জেনে আমি খুশি। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি তাক লাগানো ফলাফল করবে।” বৈঠকে যোগ দেওয়া বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতি বলেন, “কোথায় আমাদের দূর্বলতা তা জানার জন্যই মূলত আলোচনা হয়েছে।”
তৃণমূলের উপর স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে বিজেপি নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। যদিও বিজেপির নেতাদের ঘন ঘন বীরপাড়া সফর নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় তৃণমূল। তৃণমূলের মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের কার্যকরী সভাপতি মান্নালাল জৈন বলেন, “গত বিধানসভায় জেতার কথা ভুলে যাক বিজেপি। তাদের পায়ের নিচে মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। এখন ডুয়ার্সে বিজেপির সঙ্গী মোর্চার সবাই তৃণমূলে যোগদান করেছে। সেটা বুঝেই বিজেপি ঘন ঘন তাদের নেতা মন্ত্রীদের নিয়ে আসছে।”
বিধানসভা ভোটে মোর্চা বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু, সম্প্রতি ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকার মোর্চার নেতারা তৃণমূলের যোগ দিয়েছে। সেটাই এখন বিজেপি নেতাদের মাথা ব্যথার কারণ বলে তৃণমূলের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy