Advertisement
E-Paper

এসআইআর নিয়ে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, কমিশনকে জেলাওয়ারি রিপোর্ট দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

কমিশনের নতুন নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের ৮০৬৮০টি বুথ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত বুথের সংখ্যা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১৯:৩৩
Chief Electoral Officer of West Bengal sent reply to Election Commission of India on special intensive revision of electoral rolls

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-১ দফতরে। বৃহস্পতিবার এসইও-র দফতর রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট একত্রিত করে তা সবিস্তার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

এসআইআর হলে রাজ্যের সিইও-র দপ্তর যে এই মুহূর্তে সব দিক থেকেই প্রস্তুত রয়েছে, তা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, এ বার থেকে আর কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার থাকবে না। ওই সূত্র জানাচ্ছে, সেই নীতিনির্দেশিকা মেনে রাজ্যের ৮০৬৮০টি বুথ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত বুথের সংখ্যা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছে।

পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার এসআইআর হয়েছিল প্রায় দু’যুগ আগে। ২০০২-০৩ সালে। বিহারে সদ্য শেষ হয়েছে এসআইআর। এ বার পশ্চিমবঙ্গ-সহ বাকি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে শুরু হবে কাজ। সেই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুতি সেরে রাখার জন্য গত মাসে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সকল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও), বিএলও সুপারভাইজ়ার, বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ) নিয়োগ এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত জমা দিতেও বলা হয়েছিল সিইও-দের।

অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে চিঠি জমা দিয়েছেন। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকও হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বিজেপি অভিযোগ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কোনও পরিস্থিতিই থাকতে দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্তাদের উদ্দেশে মমতা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে। মমতার বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনও কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি।

কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সিইও-র নেতৃত্বে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা জেলাশাসক (ডিইও), অতিরিক্ত জেলাশাসক, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, অতিরিক্ত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং বুথ লেভেল অফিসারেরা (বিএলও) একত্রে ভোটার তালিকায় নাম থাকা প্রত্যেকের বাড়িতে এসআইআর সংক্রান্ত কাজ করবেন। তাতে একটি ফর্ম ভরে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল করতে হবে এক-এক জনকে। তা যাচাই হবে। তবে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত এসআইআর তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের অতিরিক্ত নথি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আবার যাঁদের অভিভাবকের নাম সেই তালিকায় রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও সমস্যা নেই। তবে সেই তালিকায় যাঁদের নাম নেই, নতুন ভোটার বা অন্য রাজ্য থেকে চলে আসা কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে পৃথক ফর্ম এবং নথি দাখিল করতে হবে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, ২০০২-এর তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে না, তাঁদেরই পারিবারিক এবং এ দেশের নাগরিকত্বের সূত্র বুঝতে নথি যাচাই হবে। অনলাইনেও এই প্রক্রিয়া চালানো যাবে। গোটা প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বুথ স্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন।

SIR Chief Electoral Officer State Election Commission Election Commission of India SIR of Electoral Rolls Special Intensive Revision Election Commission ECI CEO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy