আগামী বছরের গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়ে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলার আয়োজন করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই মেলায় পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জন পুণ্যার্থীর। ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আয়োজিত এই পুণ্যস্নানের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপিবিরোধী দলগুলি। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মেলার আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলে মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন। আর এ বার সুষ্ঠু ভাবে ধর্মীয় মেলা আয়োজনের দায়িত্ব তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের কাঁধে।
জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সাগরদ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। এই মেলায় আসেন দেশ বিদেশের মানুষ লক্ষাধিক মানুষ। রাজ্য সরকারের কাছে এই মেলার আয়োজন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই সেই মেলার প্রস্তুতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সব দফতরকে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ নবান্ন সভাঘরে ওই বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী, সচিবদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনের ৮০ শতাংশ দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। তাই এই বৈঠকে মন্ত্রী পুলক রায় ও তাঁর দফতরের সচিবকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর, পূর্ত, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, খাদ্য, দমকল, পরিবেশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, মথুরাপুর লোকসভার সাংসদ বাপী হালদার, প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, প্রাক্তন সাংসদ মণীশ গুপ্ত-সহ সাগর লাগোয়া সব বিধানসভার বিধায়কদেরও হাজির থাকতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিকের দাবি, গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছরই এই ধরনের বৈঠক করে থাকেন। নতুন বছরের ১০-১৬ তারিখ পর্যন্ত সাগরদ্বীপে বসবে গঙ্গাসাগর মেলার আসর। এ বছর ১৪ জানুয়ারি পুণ্যস্নান হবে গঙ্গাসাগরে।