চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল যৌন নির্যাতনের শিকার পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যার। বীরভূমের ওই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে মৃতের বছর বাইশের কাকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসডিপিও (বোলপুর) অম্লানকুসুম ঘোষ জানান, বিকেল পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে, অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তাকে জেরা করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নির্যাতিতা শিশুকন্যার বাড়ি বোলপুর থানা এলাকার একটি গ্রামে। শুক্রবার বিকেলে বাবা-মার একমাত্র সন্তান ওই শিশুটি বাড়ির কাছেই একটি খোলা মাঠে কাকার সঙ্গে খেলা করছিল। শিশুটির মাসির দাবি, সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় মেয়ের খোঁজ শুরু হয়। অভিযুক্ত কাকা বাড়ি ফিরে এলেও শিশুকন্যাটি ফেরেনি। তখন তাকেই চেপে ধরেন পরিবারের লোকেরা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সে স্থানীয় একটি চালকলের পিছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানেই গুরুতর জখম অবস্থায় শিশুটি উদ্ধার হয়। সে দিনই প্রথমে মেয়েটিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে অবস্থার অবনতি হলে গভীর রাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার ভোরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নির্যাতিতা শিশুকন্যার।
এ দিকে, ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এ দিন এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রাণের ভয়ে সকালেই বোলপুর থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত যুবক। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ দিন বর্ধমান মেডিক্যালের পুলিশ মর্গে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে মৃত শিশুর বাবা বলেন, ‘‘প্রথমে ও (অভিযুক্ত কাকা) কিছুই বলতে চায়নি। কিন্তু, ওর ফুলপ্যান্টে রক্তের দাগ দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। দু’চার ঘা দিতেই নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করে। উদ্ধার করেও মেয়েটাকে বাঁচাতে পারলাম না!’’ অভিযুক্তের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃত শিশুর সম্পর্কিত দাদু। গ্রামবাসীর পাশাপাশিই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে আদিবাসীদের সংগঠন ‘দিশম আদিবাসী জুমিত গাঁওতা’ও। সংগঠনের বোলপুর ব্লক সভাপতি সুকল মাড্ডি বলেন, ‘‘অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আগামী দিনে যাতে কেউ এমন জঘন্য কাণ্ড না ঘটাতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy