Advertisement
E-Paper

ওড়িশা থেকে গাঁজা এনে জেলায় জেলায় পাচার! হাওড়ায় পুলিশের জালে চক্রের ‘কিংপিন’

অনেক দিন ধরেই নজরে রেখেছিল সিআইডি। পুলিশি হেফাজতে থাকা বেশ কয়েক জন গাঁজা পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোপন আস্তানার সন্ধানও পেয়েছিল তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:২০

—প্রতীকী চিত্র।

অনেক দিন ধরেই নজরে রেখেছিল সিআইডি। পুলিশি হেফাজতে থাকা বেশ কয়েক জন গাঁজা পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোপন আস্তানার সন্ধানও পেয়েছিল তারা। সেই সূত্রেই ধরা পড়ল পাচারচক্রের ‘কিংপিন’। দু’টি পৃথক অভিযানে উদ্ধারও হল প্রায় সাড়ে ৭০০ কেজি গাঁজা। যার বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা।

পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার বাউড়িয়া ও উলুবেড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে পাচারের কাজে ব্যবহৃত দু’টি চারচাকার গাড়ি ও তিনটি মোবাইল ফোন। ধৃত ‘কিংপিনের’ নাম শেখ মাজেদ আলি। তিনি নদিয়ার বাসিন্দা। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক থানায় ধৃতের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআইডির ‘নারকোটিক সেল’ এবং ‘স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ’ (এসওজি) শাখার আধিকারিকেরা বাউড়িয়া পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন। বাউড়িয়ার একটি গোডাউনে অভিযান চালানো হয়েছিল। মেঝের নীচে লুকোনো চেম্বারে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৭৫২ কেজি গাঁজা। উদ্ধার হওয়া গাড়ি ও গোডাউনের মালিক শেখ মাজেদ। ওড়িশা থেকে ওই গাঁজা আনা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল, হাওড়া, বর্ধমান হয়ে নদিয়া-মুর্শিদাবাদের পৌঁছে দেওয়া। দুই গাঁজাবাহক (ক্যারিয়ার)-কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই শেখ মাজেদ সম্পর্কে তথ্য পান তদন্তকারীরা।

হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার জর্জ অ্যালেন জন বলেন, ‘‘জেলা পুলিশ ও সিআইডি যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।’’

Ganja Howrah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy