—ফাইল চিত্র।
শিশু পাচার কাণ্ডে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সিআইডির দুই মহিলা অফিসার এবং এক জন ইনস্পেক্টর রূপার গল্ফগ্রিনের বাড়িতে পৌঁছন। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। যদিও পরে রূপা দাবি করে, ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। বাকি সময় সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে।
চলতি মাসেই জলপাইগুড়ি হোম থেকে শিশু পাচার কাণ্ডে বিজেপি-র রাজ্যসভা সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং এ রাজ্যে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীকে নোটিস দেয় সিআইডি। ওই নোটিসে তাঁদের ২৭ এবং ২৯ জুলাই ভবানী ভবনে তলব করার কথা বলা হয়। কিন্তু, কৈলাস আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে নেন। রূপার দাবি, তিনি কোনও আইনি সাহায্য নেননি এখনও। এ দিন সকালেও রূপা বলেন, ‘‘আগাম জামিন না নিয়ে সিআইডি-র জন্য বাড়িতে অপেক্ষা করছি। কাউকে এ ভাবে অপেক্ষা করতে দেখেছেন?’’
এর পর টানা দু’ঘণ্টা রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গোয়েন্দারা বেরিয়ে যান। তার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রূপা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘সিআইডি আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনেনি। তদন্তের স্বার্থে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মাত্র। চা-বিস্কুট খাইয়েছি। তদন্তের জন্য যত বার আমাকে তলব করা হবে, তত বারই সাহায্য করব।’’ তিনি তখন রাজ্য মহিলা মোর্চার নেত্রী। কাজেই দায় তো তাঁর উপরও বর্তায়? এই প্রশ্নে রূপা বলেন, ‘‘এতে আমার দায় অস্বীকার করছি না তো। আমি যতটা জানি ততটাই বলেছি। যা জানি না তা বলব কী করে!’’
আরও পড়ুন: বন্যার ঘাটালে উদ্ধারে ব্যর্থ বায়ুসেনার হেলিকপ্টার
শিশু পাচার কাণ্ডে জলপাইগুড়ির মহিলা মোর্চার সভাপতি জুহি চৌধুরীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সে সময় মহিলা মোর্চার দায়িত্বে ছিলেন রূপা। রূপা এবং কৈলাসকে জুহি চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল চার্জশিটে। এ দিন ফের জুহিকে নির্দোষ বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘আমি মন থেকে বিশ্বাস করি জুহি শিশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত নয়। ওকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ কী ভাবে এত নিশ্চিত হচ্ছেন তিনি? জবাবে রূপা বলেন, ‘‘যে দিন দোষী সাব্যস্ত হবে আর বলব না। কিন্তু, যত দিন না আদালতে প্রমাণিত হবে, তত দিন ও তো নির্দোষ। তা হলে কেন দোষী বলব?’’ পাশাপাশি তিনি জানান, আইন আইনের পথে চলবে। এই মামলা তাড়াতাড়ি শেষ হওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy