উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত চাঁদগাঁওয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের (৩৩) বাড়িতে রবিবার বিকেল থেকে রাত ও সোমবার দিনভর তদন্ত করল সিআইডির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সিআইডির আধিকারিকেরা মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজের খোল ও তাঁর স্ত্রী গৌরীর রক্তমাখা ওড়না বাজেয়াপ্ত করেন। পাশাপাশি, সিআইডির ফরেন্সিক দলের তিন সদস্য মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির সামনে থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। তদন্তকারীরা মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন। অভিযোগ, ঘটনার দিন পুলিশ দু’রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। মৃত্যুঞ্জয়ের শরীর ফুঁড়ে একটি গুলি বেরিয়ে যায়। এ দিন সিআইডির আধিকারিকেরা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি ও লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় আর একটি গুলির খোল খোঁজেন। কিন্তু সেটির হদিস মেলেনি।
সরকারি নির্দেশে রবিবারই ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিআইডি। পাশাপাশি, ঘটনার রাতে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে পুলিশের উপরে হামলার পাল্টা অভিযোগেরও তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এ দিন তদন্তকারী দলে ছিলেন সিআইডির মালদহ রেঞ্জের বিশেষ সুপার অনীশ সরকার। সিআইডি সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই ওই যুবককে গুলি করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কালিয়াগঞ্জ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর (এএসআই) মোয়াজ্জেম হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বলেন, “সিআইডির তদন্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)