রুপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র পাশাপাশি আরও দু'জনকে নোটিশ পাঠাল সিআইডি.
জলপাইগুড়ির হোম থেকে শিশু পাচার কাণ্ডে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নোটিস পাঠাল সিআইডি। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ২৭ ও ২৯ তারিখ ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে দুই নেতা-নেত্রীকে। নোটিস পাঠান রয়েছে কৈলাসের সহযোগী প্রশান্ত সারিন ও বিনায়ক মিশ্রকেও।
মাস দু’য়েক আগেই জলপাইগুড়ি শিশু পাচার কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করেছিল সিআইডি। সেই চার্জশিটে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী, জলপাইগুড়ির তৎকালীন জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষ ও তাঁর স্বামী দার্জিলিংয়ের ডিসিপিও (ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার) মৃণাল ঘোষ, দার্জিলিং সিডব্লিউসি (চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি)-র সদস্য দেবাশিস চন্দ, জলপাইগুড়ির একটি চাইল্ড হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী এবং চন্দনার ভাই মানস ভৌমিক এবং মানসের স্ত্রী সোনালি- এই সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল চার্জশিটে। সেই চার্জশিটেই জুহি চৌধুরীকে বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ বার সেই কাণ্ডেই রূপা ও কৈলাসকে নোটিস পাঠাল সিআইডি।
আরও পড়ুন: প্রকল্প বাতিল, শালবনির জমি রাজ্যকে ফেরাতে চায় জিন্দলরা
২০১৫ সালে জলপাইগুড়ির বিমলা হোমে শিশু পাচার চক্রের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। ওই হোম থেকে ১৭টি শিশুকে বেআইনি ভাবে দত্তক দেওয়া নিয়ে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চিঠি পাঠান সিডব্লিউসি-র এক সদস্য৷ ওই বছরই জুনে সিডব্লিউসি-র একাধিক সদস্য একই অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কর্তাদের চিঠি দেন৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গত ডিসেম্বরে তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন৷ মাসখানেক বাদে তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি৷ ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় চন্দনা ও সোনালি মণ্ডলকে৷ তার পর একে একে ধরা পড়েন মানস, জুহি, সস্মিতা, মৃণাল ঘোষ ও দেবাশিস চন্দ।
শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, শিশু পাচারের তদন্তে নেমে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এমনকী খাস কলকাতাতেও ধরা পড়ে একের পর এক চক্রের হদিশ। গ্রেফতার করা হয় অনেককে। ধৃতদের মধ্যে আছেন প্রতিষ্ঠিত চিকিত্সকও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy