১১ বছরের দাম্পত্য ভেঙে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার! শোরগোল

১১ বছরের দাম্পত্য। তার মধ্যে অন্য এক পুরুষকে মন দিয়ে ফেলেছেন নদিয়ার সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী। লুকোছাপা করেননি বধূ। স্বামীর কাছে অকপটে স্বীকার করেন প্রেমের কথা। সেটা জানতে পারার পরেও চটেননি মহিলার স্বামী। শুধু তা-ই নয়, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের বিয়েও দিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। নদিয়ার ধানতলা থানা এলাকার ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। কারণ, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের যখন বিয়ে হচ্ছে, তখন সমাজমাধ্যমে সেটা ‘লাইভ’ দেখান সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার থেকে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল সেই ভিডিয়ো।

হিন্দি ছবি ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর সঙ্গে কেউ কেউ নদিয়ার এই ঘটনার মিল দেখছেন। যেখানে দেখানো হয়েছিল, স্বামীর মধ্যস্থতায় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে মিলন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধানতলা থানা এলাকার বাসিন্দা হিরণ্ময় সমাদ্দারের বিয়ে হয়েছিল ২০১৪ সালে। স্ত্রীর নাম সুপ্রিয়া সমাদ্দার। আদতে নাকাশিপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। হিরণ্ময় রানাঘাট পুলিশ জেলার কল্যাণী হেডকোয়ার্টারে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। পেশাগত কারণে বাড়িতে থাকতেন না খুব একটা। অন্য দিকে, তাঁর গ্রামের এর যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্ত্রী। কয়েক দিন আগে স্ত্রীর মোবাইল থেকে ওই সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারেন সিভিক ভলান্টিয়ার। স্ত্রী-ও জানান, ওই যুবককে তিনি ভালবাসেন।

সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, স্ত্রীর ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে তাঁর ভালবাসার মানুষের সঙ্গে সংসার করতে বলেন তিনি। বস্তুত, আরংঘাটা শ্মশানকালী মন্দিরে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের বিয়ে দেন তিনি। স্ত্রীর বিয়ের সময় সমাজমাধ্যমে ‘লাইভ’-এ আসেন হিরণ্ময়। ভিডিয়োয় দেখা যায়, মন্দিরে স্বামীর সামনে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করছেন স্ত্রী। সুপ্রিয়ার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন প্রেমিক। ওই সময়ে হিরণ্ময়কে বলতে শোনা যায়, ‘‘এই দেখুন, এই হচ্ছে আমার স্ত্রী সুপ্রিয়া সমাদ্দার। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার প্রেমিক টোটোন কুন্ডুর সঙ্গে বিয়ে দিলাম। আজ থেকে সুপ্রিয়া টোটন কুন্ডুর স্ত্রী হল।’’

হিরণ্ময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, তাঁদের দুই সন্তান। এক সন্তানের থ্যালাসেমিয়া আছে। স্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিক ভলান্টিয়ার। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ হিরণ্ময়ও দেখেছেন। তিনি মনে করেন, ওই সিনেমার মতো সুপ্রিয়াও শেষ পর্যন্ত তাঁর কাছে ফিরে আসবেন।