একবালপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
সব খারাপ কাজের জন্য ফের সিপিএমকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, সব খারাপ কাজ বাম সরকারের সময়েই হয়েছে। ফলে, তাঁর সরকারকে যেন দায়ী করা না হয়।
নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হওয়া ইস্তক তার দায় সিপিএমের উপরেই চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিগত বাম সরকারের বিরুদ্ধে চিরকুটের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এমনকি, সোমবারেই চাকরির নিয়োগে এখনও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছেন বাম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির বিরুদ্ধে। তার পরে এ দিন একবালপুরে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘যা যা বেআইনি কাজ, সব ২০১১ সালের আগে সিপিএম করে গিয়েছে। এখন ছুপা রুস্তম সেজে বসে আছে! ফাইল খোলা হলে দেখা যাবে, সব অকাজ করে গিয়েছে!’’
অবৈধ ভাবে বাড়ি তৈরি-সহ পরিকাঠামোর নানা সমস্যার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা আরও বলেন, ‘‘আগের সরকারের সময় অনেক কিছু হয়েছে। আমাদের ধরবেন না। আজ হঠাৎ করে একটা ঘটনা ঘটলে দমকল ঢোকানোর জায়গা নেই। কিচ্ছু দেখেনি!’’
মুখ্যমন্ত্রীর এমন তোপের প্রেক্ষিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী পাল্টা বলেছেন, ‘‘একটা করে ঘটনা ঘটছে আর ভয় পেয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের ভূত দেখছেন! ভূত দেখলে তার কি কোনও ওষুধ হয়?’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে ওখানে বাড়ি তৈরি ইত্যাদির কী সম্পর্ক? মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, বাম জমানাতেও কলকাতা পুরসভার ওই বরো তৃণমূলের দখলে ছিল। বরো চেয়ারম্যান ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।’’ মুখ্যমন্ত্রী এ দিন যখন একবালপুরে সিপিএমকে নিশানা করছেন, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ তখন তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।
নবান্ন থেকেই এ দিন মমতা ঘোষণা করেছিলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত দু’জনের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিপূরণ সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলির হাতে তুলেও দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ-পরিকাঠামো নিয়ে আজ, বুধবার বৈঠক করবেন সিইএসসি, কলকাতা পুরসভার মেয়র, মুখ্যসচিব এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ফরেন্সিক তদন্ত হচ্ছে। পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেছি।’’ অবৈধ ভাবে তৈরি বাড়ির প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘বাড়ি হোক, আপত্তি নেই। আইনি ভাবে করা হোক। তাতে মানুষের নিরাপত্তা থাকা উচিত। বস্তির লোকেদের এখন মালিক করে দেওয়া হয়েছে। লিজ় দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিজেরা বাড়ি তৈরি করে নিতে পারে। মজবুত করে করতে হবে। তবে তার স্থায়িত্ব থাকবে। সেখানে পানীয় জল, বিদ্যুৎ যেন ঠিক থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy