Advertisement
E-Paper

মমতার ধর্মঘট-বিরোধিতায় আস্থা দিলীপেরও, প্রস্তুত বামেরা

সাধারণ ধর্মঘটের কোনও প্রভাব রাজ্যে পড়বে না। দু’দিনের ধর্মঘট শুরুর আগের রাতে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০৯
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সাধারণ ধর্মঘটের কোনও প্রভাব রাজ্যে পড়বে না। দু’দিনের ধর্মঘট শুরুর আগের রাতে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্ন থেকে বেরোনোর সময়ে সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কিসের বন্‌ধ? ৩৪ বছরে অনেক বন্‌ধ করেছে! বাংলাকে শেষ করা হয়েছে! আমরা বন্‌ধকে সমর্থন করি না, সেটাই আমাদের অবস্থান।’’ ধর্মঘট মোকাবিলায় পুলিশ-প্রশাসনের তরফে যাবতীয় বন্দোবস্তই রাখা হচ্ছে।

রাজ্যে ধর্মঘট মোকাবিলায় মমতার সরকারের উপরেই ‘আস্থা’ রাখার কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ দিন খড়্গপুরের বিধায়ক কার্যালয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমরা ধর্মঘট সমর্থন করছি না। তবে মাঠে নেমে ধর্মঘটের বিরোধিতাও করব না। রাজ্য সরকার ধর্মঘট মোকাবিলায় নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা তাতে আস্থা রাখছি।’’

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আজ, মঙ্গল ও কাল, বুধবার দেশ জুড়়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। বামেদের পাশাপাশিই সেখানে আছে কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন। ব্যাঙ্ককর্মীরাও এই ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন। সঙ্ঘ পরিবার প্রভাবিতক বিএমএস এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অবশ্য ধর্মঘটের বিরোধিতা করছে। যদিও বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীলের বক্তব্য, ‘‘এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধর্মঘটে আমরা সামিল হচ্ছি না। তবে জোর করে ধর্মঘট ব্যর্থ করার পক্ষেও আমরা নই। ওই দাবিগুলির সমর্থনে রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষক সংগঠন একসঙ্গে আন্দোলন করলে তাকে আমরা সমর্থন করব।’’

আরও পড়ুন: রাখা হচ্ছে জলকামান, ধর্মঘটে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে তৎপর পুলিশ

বিজেপি এবং তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে ফেলেই বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘বলা হচ্ছে, কর্মনাশা ধর্মঘট চাই না। বাধ্য হয়েই ধর্মঘট। কিন্তু রাজ্য সরকার যে কথায় কথায় ছুটি দেয়, দু’দিন সিএল নিলেই লম্বা ছুটি মিলবে— এমন ক্যালেন্ডার দেখে ছুটি দেওয়া হয়, তখন কর্মনাশ হয় না?’’ ধর্মঘটে কিছু আর্থিক ক্ষতি হয় মেনে নিয়েই বিমানবাবুদের দাবি, রাজ্য সরকার ছুটি দিয়েই তার চেয়ে বেশি ক্ষতি ডেকে আনে। ধর্মঘটের প্রথম দিনে আজ, মঙ্গলবার কলকাতা এবং জেলা সদরগুলির নানা জায়গায় বাম নেতারা অবস্থান-পিকেটিং করবেন। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে বিমানবাবু, রাজাবাজারে সূর্যকান্ত মিশ্র, হাজরা মোড়ে রবীন দেব, যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তীর থাকার কথা। বামেদের সব রাজ্য নেতারাই দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন।

Mamata Banerjee BJP TMC Dilip Ghosh মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি তৃণমূল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy