Advertisement
E-Paper

সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বার নজরদারি চালাবেন রাজ্যের আমলারা

সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারিতে এ বার আমলাদেরও যুক্ত করল রাজ্য সরকার। গত বুধবার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের জন্য সচিবদের নিয়ে গড়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নবান্ন থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। তাতে সিআইডি-র একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসৎ উদ্দেশ্যে ছড়ানো কোনও বার্তা পেলে তা ওই নম্বরে পাঠিয়ে দিতে হবে।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৩

সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারিতে এ বার আমলাদেরও যুক্ত করল রাজ্য সরকার। গত বুধবার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের জন্য সচিবদের নিয়ে গড়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নবান্ন থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। তাতে সিআইডি-র একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসৎ উদ্দেশ্যে ছড়ানো কোনও বার্তা পেলে তা ওই নম্বরে পাঠিয়ে দিতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির জন্য বড় মাপের পরিকাঠামো গড়েছে সিআইডি। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স, রাজ্য গোয়েন্দা দফতরও একই কাজ করে। এ বার আমলাদেরও উপরও সেই ‘দায়িত্ব’ এল। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বা সামাজিক অসন্তোষ তৈরির জন্য ক্রমাগত অপপ্রচার চলছে। তাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির শিকার। মুখ্যমন্ত্রী সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারি চান।’’

সচিবদের পাঠানো নবান্নের বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মিসচিফ মঙ্গারিং’ বা ঘোলা জলে মাছ ধরার ঘটনায় নজরদারি জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নজরদারি কয়েকটি স্তরে করা প্রয়োজন। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, সরকারের নীতি ও আদেশনামা নিয়ে অভিসন্ধিমূলক মিথ্যা খবর ছড়ানো হলে বা প্রশাসনিক চৌহদ্দিতেই তথ্য বিকৃত করে দূরভিসন্ধিমূলক প্রচার হলে সঙ্গে সঙ্গে তা নজরে আনুন’। ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ চালাচালি ধরা খুবই কঠিন কাজ, তাই একটি নির্দিষ্ট নম্বরে সংশ্লিষ্ট বার্তাটি পাঠান। সরকার তা অনুসন্ধান করবে’।

সম্প্রতি গ্রুপ-ডি চাকরির নকল নিয়োগপত্র বা সরকারি পদোন্নতি নিয়ে কিছু মিথ্যা খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছিল। বসিরহাট বা দেগঙ্গায় অশান্তির সময়েও বেশ কিছু মিথ্যা ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়েছিল। তাই নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছে নবান্ন। কিন্তু সে জন্য আমলাদের দায়িত্ব দেওয়ার দরকার কী? ‘মিসচিফ মঙ্গারিং’-এর সংজ্ঞাই বা কী ভাবে ঠিক হবে? এ ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের মামলার জেরে নজরদারির জন্য ‘সোশ্যাল মিডিয়া হাব’ তৈরির প্রস্তাব থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। অনেকের প্রশ্ন, তা হলে পশ্চিমবঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির জন্য আইএএস অফিসারদের যুক্ত করা হচ্ছে কেন।

আরও পড়ুন: মমতা এখন বিরোধী থাকলে, কী করতেন? বিরোধীরা বললেন, আর একটা মমতা চান তো!

ইন্দ্রনীলবাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে বিরোধিতা করার অধিকার আছেই। কিন্তু তাই বলে সামাজিক পরিস্থিতি অশান্ত করতে পারে, এমন কিছু গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে ছাড় পেতে পারে না। দিল্লি যা করতে চেয়েছিল তা বিরোধীদের কণ্ঠরোধের শামিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কখনওই এমন কোনও কিছু করতে পারে না।’’

Social Media Surveillance Mamata Banerjee State Government সোশ্যাল মিডিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy