এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ কয়লা পাচারের মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের আদি বাসিন্দা বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর। এ বার ওই মামলায় সেই রঘুনাথপুরেরই এক প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি ছাড়াও কয়লা কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। ওই দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর, লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু প্রভাবশালীকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সূত্রেই শাসক দলের ওই পূর্বতন বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রীকে প্রশ্ন করেছে।
ইডি জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ নিয়ে লালা এখন পুরুলিয়াতেই আছেন। তদন্তকারীদের দাবি, লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই প্রাক্তন বিধায়কের নাম জানা গিয়েছে।
ওই প্রাক্তন বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি। ইডি সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে ওই প্রাক্তন বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক আমানত ও সম্পত্তির নথি তলব করে সেগুলি যাচাই করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, লালার সঙ্গে ওই প্রাক্তন বিধায়কের যোগসূত্রের নানান নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই সব নথি এবং লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া নানা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাক্তন বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রীকে গত শুক্র ও শনিবার দিল্লির সদর দফতরে ডেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফের বিধায়ককে তলব করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা তুলে ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশে কয়লা পাচার করা হত বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। ইডি-র দাবি, ওই ক’ছরে কয়লা পাচার কাণ্ডে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy