Advertisement
E-Paper

শিক্ষিকাকে মার সহকর্মীর স্বামীর

রায়গঞ্জ পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রাকেশ দেবনাথ বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না। স্কুলের সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও অন্য প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে সুজয়বাবুর ভূমিকা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ০২:৫৩
যাঁকে ঘিরে বিতর্ক সেই শিক্ষিকা, মালা রবিদাস ও পাশে তাঁর স্বামী সুজয় ভদ্র। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

যাঁকে ঘিরে বিতর্ক সেই শিক্ষিকা, মালা রবিদাস ও পাশে তাঁর স্বামী সুজয় ভদ্র। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

স্কুলে দীর্ঘ দিন দেরি করে হাজিরার অভিযোগে এক শিক্ষিকার সঙ্গে সহকর্মীদের একাংশের গোলমাল চলছিল। সেই গোলমাল ঘিরে এক শিক্ষিকার সঙ্গে গন্ডগোলে জড়ালেন অভিযুক্ত শিক্ষিকার স্বামী। বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জের বরুয়া পঞ্চায়েতের সিজগ্রাম নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম মালা রবিদাস। তাঁর স্বামীর নাম সুজয় ভদ্র। সুজয় ওই পঞ্চায়েতেরই রায়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এ দিন সুজয় তাঁর স্ত্রী মালাকে মোটরবাইকে চাপিয়ে স্কুলে পৌঁছতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ওই স্কুলের শিক্ষিকা রেখা রায় অধিকারীর মার বেধে যায়। তা দেখে অভিভাবকদের একাংশ সুজয়কে পাল্টা মারধর করেন বলে অভিযোগ। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে অভিভাবকদের মারে জখম হন মালা। জখম হন সুজয় ও রেখাও। বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিভাববকদের হাত থেকে মালা ও সুজয়কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রায়গঞ্জ পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রাকেশ দেবনাথ বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না। স্কুলের সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও অন্য প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে সুজয়বাবুর ভূমিকা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

ওই স্কুলে এক জন প্রধানশিক্ষক-সহ দু’জন শিক্ষক ও তিন জন শিক্ষিকা। শিক্ষক ও অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মালা দেরি করে স্কুলে হাজির হচ্ছিলেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালার সঙ্গে তাঁর সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের গোলমাল চলছিল। সেই গোলমালকে কেন্দ্র করে সোমবার তাঁর সহকর্মী শিক্ষিকা রেখা ও স্কুলের প্রধানশিক্ষক ভরতচন্দ্র দে মালাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এ দিন সুজয় মালাকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যান। সেই সময় স্কুলের সামনে তাঁর সঙ্গে রেখার মারপিট বেধে যায়। মালার বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের একাংশ বেলা বেলা দেড়টার সময়ে বিভিন্ন ক্লাস বাতিল করে স্কুল থেকে চলে যাচ্ছেন। প্রথম থেকে আমি এর প্রতিবাদ করায় সোমবার রেখা ও স্কুলের প্রধানশিক্ষক আমাকে মারধর করেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোয় এ দিন রেখা আমার স্বামীকে মারধর করেন।’’ রেখার পাল্টা দাবি, মালা দীর্ঘ দিন ধরে দেরি করে স্কুলে হাজির হচ্ছেন। সুষ্ঠু পঠনপাঠনের স্বার্থে স্কুলের শিক্ষকেরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তিনি তাঁর স্বামীকে স্কুলে এনে আমার উপর হামলা চালান।

Violence Teachers Quarell
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy