শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা না থাকলেও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচনে বৈঠক সেরে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতি মেনে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। তবে তিনি আগেই বৈঠকে না যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পরবর্তী চেয়ারম্যান পদে বসানো হতে চলেছে, এই দাবি জানিয়ে এ দিন বৈঠকের আগেই রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা।
সূত্রের খবর, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসাবে যে নামগুলি নিয়ে চর্চা ছিল, তার মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেবের নাম। সরকারি ভাবে ঘোষণা বা স্পষ্ট করা না হলেও প্রশাসনের অন্দরের গুঞ্জন, সেই নামেই সিলমোহর দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। নির্বাচিত সেই নামে অনুমোদন পেতে সংশ্লিষ্ট ফাইলটি রাজভবনে পাঠানোর কথা নবান্নের। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাসুদেব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিব ছিলেন। সেই পদগুলি থেকে অবসর নেওয়ার পরে রাজ্যের তথ্য কমিশনারও হয়েছিলেন তিনি। ফলে, তাঁর অভিজ্ঞতা মানবাধিকার কমিশনে কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক মহলের অনেকেই।
নবান্নে বৈঠকের আগেই এ দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ড্লে অভিযোগ করেন, এই ধরনের ‘লোক-দেখানো’ বৈঠকে তাঁদের মত গ্রাহ্য করা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকারের দিক থেকে যা ঠিক করা থাকে, তাতেই অনুমোদন দেওয়া হয়। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘এখানে যাঁদের মধ্যে বেছে নেওয়ার কাজ হবে, সেই তালিকায় রয়েছেন মাত্র তিন জন। সেই তালিকায় এমন এক জন রয়েছেন, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর চোখের মণি। যাঁকে পশ্চিমবঙ্গের তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছিল। এ বার তাকে পুর্নবাসন দিয়ে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনে নিয়ে আসা হচ্ছে।’’ বিরোধী দলনেতার ইঙ্গিত প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেবের দিকেই। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এখন রাজ্য সরকারের ‘হাতের পুতুল’ বলেও আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, একের পর এক ঘটনায় কমিশনকে জানিয়েও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy