এগারো বছরের মেয়েটির চোখের তলায় ও নাকে দাগ। হাতে দগদগে ফোস্কা। আঘাতের চিহ্ন মাথায়।
সোমবার চণ্ডীতলার বড় তাজপুরের একটি বাড়ি থেকে ওই বালিকাকে উদ্ধারের পরে তার শরীরের সব দাগ দেখে এবং তার কারণ জেনে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। মা-মরা মেয়েটিকে মানুষ করার নামে বড় তাজপুরের এক দম্পতি বাড়ির সব কাজ করাতেন এবং ভুলচুক হলেই বেধড়ক মারধর করা হত বলে অভিযোগ। হাতা-খুন্তি দিয়ে মার থেকে গায়ে গরম জল ছুড়ে দেওয়া— বাদ থাকেনি কিছুই। দম্পতির এক মেয়ে রয়েছে। সে দশম শ্রেণির ছাত্রী।
প্রশাসনের তরফে নির্যাতিতাকে উত্তরপাড়ার হোমে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। হুগলি জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির (সিডব্লিউসি) চেয়ারপার্সন শুভাশিস নন্দী বলেন, ‘‘অমানবিক ঘটনা। ওই বালিকার ওর উপরে হওয়া অত্যাচারের কথা অনেকটাই বলেছে। তবে, এখনও সে ভয়ে আছে। ওর সঙ্গে আরও কথা বলা হবে। মেডিক্যাল রিপোর্ট নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট বানিয়ে এর বিরুদ্ধে যাবতীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটাই করা হবে।’’