Advertisement
E-Paper

করলার খবর পৌঁছল রাহুল গাঁধীর কাছে

শহর ব্লক কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলানো পিনাকী অবশ্য এ নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “আমার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ফোন করেছিলেন। সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা আমার সংবাদমাধ্যমে জানানোর কথা নয়। শুধু এতটুকু বলতে পারি, আমি গর্বিত।”

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫০
এমনই হাল জলপাইগুড়ির করলা নদীর। — ফাইল চিত্র

এমনই হাল জলপাইগুড়ির করলা নদীর। — ফাইল চিত্র

করলা নদী যে মজে গিয়েছে সে খবর পৌঁছল রাহুল গাঁধীর কাছে। পৌঁছে দিলেন জলপাইগুড়ির কংগ্রেস নেতা পিনাকী সেনগুপ্ত। জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কংগ্রেস সভাপতি। পিনাকীকেও ফোন করেছিলেন তিনি। আলোচনা হয়েছে সংগঠনের নানা বিষয়ে। সূত্রের খবর, সে সময়ই পিনাকী করলা নদীর প্রসঙ্গ আনেন। জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যখান দিয়ে যাওয়া নদী কী ভাবে মজে গিয়েছে তা অনেকটাই রাহুলের জানান জেলা কংগ্রেস নেতা পিনাকী।

শহর ব্লক কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলানো পিনাকী অবশ্য এ নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “আমার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ফোন করেছিলেন। সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা আমার সংবাদমাধ্যমে জানানোর কথা নয়। শুধু এতটুকু বলতে পারি, আমি গর্বিত।”

কংগ্রেস জানিয়েছে, রাহুল কনফারেন্স কল করেছিলেন। পিনাকীর সঙ্গে প্রায় ১৪ মিনিট কথা বলেন। পিনাকীর সঙ্গে কথা বলে ভাল লেগেছে তাও জানান তিনি। কী কী দাবিদাওয়ায় আন্দোলন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। তখন পিনাকী করলা নদীর প্রসঙ্গ তোলেন। জেলার বন্ধ চা বাগান, চা নিলাম কেন্দ্র বন্ধ থাকার কথাও বলেন। সার্কিট বেঞ্চের বিষয়টিও জানান। নদী নিয়ে আন্দোলনের কথা কোনও নেতার মুখে শুনে কংগ্রেসের অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও মন্তব্য করেন। সূত্রের খবর, দ্রুত জেলা কংগ্রেস করলা নদী নিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে।

বৈকুন্ঠপুর থেকে প্রবাহিত করলা নদীকে অনেকে জলপাইগুড়ি ‘টেমস’ বলেন। লন্ডনে যেমন টেমস নদী শহরের মধ্য দিয়ে বয়েছে, করলাও তেমনিই বলে দাবি তাঁদের। বর্ষা ছাড়া করলা নদীতে জল তলানিতে পড়ে থাকে। ধান চাষও হয়। রাজ্যের তরফে নদীর নাব্যতা ফেরাতে একটি বড় প্রকল্প নিয়েছে। তার কাজও চলছে। করলা নদীতেই নির্বিচারে জঞ্জাল থেকে থার্মোকল এবং প্লাস্টিক ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী চিকিৎসা বর্জ্যও নদীতে ফেলা হয়। নদীতে পলি জমি উঁচু হয়ে যাওয়ায় নাব্যতা হারিয়েছে। বর্ষায় তিস্তার অতিরিক্ত জল করলা দিয়ে শহরে ঢুকে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলবন্দি করে দেয় বলে দাবি। সে সব কথাই গত বৃহস্পতিবার রাহুলকে জানান হয়।

Karala River Rahul Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy