প্রতীকী ছবি।
নির্দলদের দলে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত হাতে পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তাঁরা কীভাবে ভোটে জিতেছেন, তা নিয়ে দলীয় স্তরে তদন্ত চাইলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় ১০০ % বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত নিয়েও নালিশ গিয়েছে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠের অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু বোর্ড গঠনের পরে এ ব্যাপারে দলের অন্দরে তদন্তের দাবি উঠেছে গোসাবার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে সব আসনেই হেরে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়ানো প্রার্থীরা। তবে বাম বা বিজেপি নয়, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা। সেই মতোই বোর্ড গঠনে বিক্ষুব্ধদের স্বীকৃতি দিয়েছেন দলের জেলা নেতৃত্ব। বোর্ড হাতে এলেও পুরোপুরি বিরোধীশূন্য গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে টানাপোড়েন বন্ধ হয়নি। গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক এই গোটা প্রক্রিয়ায় আপত্তি জানিয়ে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে চিঠি লিখেছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গোসাবার বিধায়ক বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে যা জানানোর দলকে জানিয়েছি।’’ জেলার ভারপ্রাপ্ত নেতা শুভাশিস চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘ভোটে অনিয়ম বা গাজোয়ারির অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়।’’
দলীয় প্রার্থীদের হারিয়ে জয়ী নির্বাচিত বিক্ষুব্ধরাই এখানে তৃণমূলের বোর্ড গড়েছে। সে সম্পর্কে শুভাশিস বলেন, ‘‘এঁরা দলেরই লোক। মনোনয়ন না পেয়ে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আবেদন করে আবার দলে ফিরে এসেছেন। তাই অসুবিধা কোথায়?’’ তবে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ ঘিরে অন্দরের মনোমালিন্য চরমে পৌঁছেছে।
এই অভিযোগ পৌঁছেছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। তবে জয়ন্তবাবুর বিরুদ্ধেও বেছে বেছে অনুগামীদের প্রার্থী করার অভিযোগ রয়েছে বিরোধী গোষ্ঠীর। তাঁদের দাবি, সে কারণেই অনুপযুক্তদের হারিয়ে দলের প্রকৃত কর্মীরা জিতেছেন।
এইরকমই পরিস্থিতিতে বোর্ড গঠনের আগে অশান্তির আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন শোভন। অশান্তি না হলেও বিক্ষুব্ধদের দলীয় স্বীকৃতি নিয়ে পুরনো দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy