বালিগঞ্জ ও আসানসোলের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে কংগ্রেস। প্রতীকী ছবি
জোড়া উপনির্বাচনেই প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। বিধান ভবন সূত্রে খবর, রবিবার বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচনে বেশকিছু প্রার্থীর নাম এআইসিসি-তে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সে বিষয়ে দিল্লি থেকেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন এআইসিসি নেতৃত্ব। গত বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করেই লড়াই করেছিল কংগ্রেস। সেই জোটে ছিল আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। সেই ভোটে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে। সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি হিসেবে জয় পেয়েছেন আইএসএফের নওশাদ। তারপরেই গত ডিসেম্বর মাসে জোট ছাড়াই কলকাতার পুরভোটে লড়াই করেছিল বাম-কংগ্রেস। তাতে পরস্পরের লাভই হয়েছে বলে মনে করছে দু’পক্ষই। আর সেই ভোটেই বালিগঞ্জ বিধানসভায় দ্বিতীয় হিসেবে উঠে এসেছে কংগ্রেস।
তা সত্ত্বেও উপনির্বাচনে জোটের আলোচনা চেয়েছিল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বামেদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। কিন্তু উপনির্বাচনে জোট আলোচনার মধ্যেই একক ভাবে দুই আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেয় বামফ্রন্ট। আসানসোলের সিপিএমের রাজ্য কমিটির নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় ও বালিগঞ্জে সায়রা হালিমকে মনোনয়ন দিয়েছে সিপিএম। জোট আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায়, এ বার দুই উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার পক্ষেই একমত হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। শনিবার উপনির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়টি চূড়ান্ত করতে নেতাদের সঙ্গে একটি ভাচুয়াল বৈঠক করেন অধীর। সেখানেই দুটি আসনেই কয়েকজন প্রার্থীর নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
বালিগঞ্জে একজন সংখ্যালঘু প্রার্থী নাম প্রায় চূড়ান্তই করে ফেলেছিলেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু তাঁর বোনের বিয়ে থাকায় ওই নেতাকে ভোটে দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর। দুটি কেন্দ্রেই বেশকিছু প্রার্থীর বায়োডাটা জমা পড়েছিল। তাতে প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন এক কংগ্রেস সাংসদ ঘনিষ্ঠ এক নেত্রী। যিনি গত লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ বলেন, ‘‘আমরা সভাপতিকে দুই আসনেই প্রার্থী দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। আশাকরছি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এআইসিসি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy