E-Paper

তালিকায় গরমিল, সিইও দফতরে বচসায় কংগ্রেস

সিইও দফতরে গিয়ে কংগ্রেসের দাবি, বসিরহাট এলাকার একটি বুথের ২০০২ সালের যে ভোটার তালিকা কমিশন ওয়েবসাইটে দিয়েছে, তার বাইরেও একটি ‘অতিরিক্ত’ তালিকা ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৫৫
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের পরে এ বার ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার সূত্রে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়ালকে নিশানা করল বিরোধী দল কংগ্রেসও। কমিশনের কাছে দাবি জানাতে গিয়ে সিইও দফতরে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস নেতারা।

ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি মানব না, এই দাবি তুলে মঙ্গলবার সিইও দফতরের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। সেখান থেকেই সিইও দফতরে গিয়ে কংগ্রেসের দাবি, বসিরহাট এলাকার একটি বুথের ২০০২ সালের যে ভোটার তালিকা কমিশন ওয়েবসাইটে দিয়েছে, তার বাইরেও একটি ‘অতিরিক্ত’ তালিকা ছিল। নাম বাদ এবং অন্তর্ভুক্তির এমন অতিরিক্ত তালিকা যে কোনও বুথেই সচরাচর থাকে। বসিরহাটের ওই বুথের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তালিকায় ৩৪ জনের নাম ছিল, যাঁরা কমিশনের দেওয়া তালিকায় নাম খুঁজে না-পেয়ে আতঙ্কিত হয়েছেন। নিজেদের এলাকায় ইআরও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। কংগ্রেসের অভিযোগ, জেলা নির্বাচনী আধিকারিক যাতে বিষয়টি দেখেন, সেই মর্মে লিখিত আশ্বাস দেওয়ার কথা বলেও সিইও পরে দিতে চাননি। এই সূত্রেই প্রদেশ কংগ্রেসের এসআইআর কমিটির চেয়ারপার্সন প্রসেনজিৎ বসুর সঙ্গে বচসা বেধে যায় সিইও আগরওয়ালের। সিইও দফতর সূত্রের বক্তব্য, পুরনো ভোটার তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব জেলাশাসকদের। তাঁদের পাঠানো তালিকা ধরেই কমিশন সাইটে আপলোড করছে। সেই তালিকার সঙ্গে ২০০২-এর মূল তালিকার গরমিলের অভিযোগ পেয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (অর্থাৎ জেলাশাসক) কাছে ফের তথ্য খতিয়ে দেখে রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। বসিরহাটের ক্ষেত্রেও তা-ই। কিন্তু কংগ্রেসের নেতা এই নিয়ে চোটপাট করায় সিইও দফতর ‘স্তম্ভিত’ বলে সূত্রের খবর।

শুভঙ্কর সরকার।

শুভঙ্কর সরকার। —নিজস্ব চিত্র।

সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রসেনজিৎ বাইরে সিও-র বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেই বলেছেন, ‘‘সিইও আইন মেনে কাজ করছেন না। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় চলছেন। বসিরহাটের মতো এমন ঘটনা আরও কত ঘটছে, যেখানে মানুষ জানতে পারছেন না। সিইও-কে ভুলের কথা ধরিয়ে দিলে তিনি দুর্ব্যবহার করছেন!’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ফের বলেছেন, রাজ্যে ভোটের আগে এত কম সময়ে এসআইআর করে ‘নির্দোষ’ ভোটারের নাম বাদ গেলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

প্রদেশ কংগ্রেসের পরে মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য চারটি এসআইআর হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, “২০২১-এ এনআরসি-র মতোই এসআইআর নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ভয়ের আবহ তৈরি করছে তৃণমূল ও বিজেপি। বিজেপির কথায় কমিশন যা খুশি করবে, এটা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনও জেলাশাসক, বিডিও আছেন, যিনি তৃণমূলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারেন? রাজ্য সরকার বাগাড়ম্বরের বদলে কর্মচারীদের প্রতিটি বৈধ ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বলুক!”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission Congress Special Intensive Revision

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy