Advertisement
E-Paper

মোর্চা-জঙ্গি যোগ কেন্দ্রীয় রিপোর্টেও

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর চারটি টুইট করে শান্তি ফেরানোর আহ্বান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শুরুতেই রাজ্যের দাবি মেনে পাহাড়ে দশ কোম্পানি আধাসেনা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। পরে ফের চার কোম্পানির দাবি করে নবান্ন।

অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০৩:৫৬

মিছিলের পুরোভাগে থাকছেন মহিলা বিক্ষোভকারীরা। এই প্রমীলা মোর্চা-সমর্থকদের রুখতে রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছেন পুরুষ আধাসেনা বা পুলিশ। আগ্রাসী এই মহিলাদের সামলাতে রাজ্যের দাবি মেনে আপাতত এক কোম্পানি মহিলা আধাসেনা পাহাড়ে পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দার্জিলিঙের অশান্তি নিয়ে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তাতে মোর্চা নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগের কথা জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই অভিযোগ করেছিলেন।

গত কালই পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর ডাক দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর চারটি টুইট করে শান্তি ফেরানোর আহ্বান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শুরুতেই রাজ্যের দাবি মেনে পাহাড়ে দশ কোম্পানি আধাসেনা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। পরে ফের চার কোম্পানির দাবি করে নবান্ন। তবে কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, রিপোর্ট আসার পরেই বাড়তি আধাসেনা পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রক। সূত্রের খবর, সপ্তাহান্তে দার্জিলিঙের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট পাঠানোর পাশাপাশি মহিলা বিক্ষোভকারীদের সামলাতে কেন্দ্রের কাছে দুই কোম্পানি মহিলা আধাসেনাও চায় নবান্ন। আপাতত কেন্দ্রের হাতে থাকা এক কোম্পানি সেনা দার্জিলিঙে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মহর্ষি রাজ্যের মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে আরও আধাসেনা পাঠানো হবে পাহাড়ে।

গোড়া থেকেই মমতা অভিযোগ করে আসছিলেন, উত্তর-পূর্বের জঙ্গিরা গোর্খাদের মদত দিয়ে আসছে। মমতার সেই দাবিতে কার্যত সিলমোহর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দেওয়া গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে— মোর্চা নেতাদের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে। গোর্খাল্যান্ডের প্রশ্নে নীতিগত সমর্থনের পাশাপাশি অর্থ-অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছে ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মোর্চার। সম্প্রতি মায়ানমারে প্রশিক্ষণ নেওয়া এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার সঙ্গে মোর্চার যোগ রয়েছে। বড়োল্যান্ড, কামতাপুরির মতো গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে শীর্ষ গোর্খা নেতৃত্বের। সম্পর্ক রয়েছে নেপালের মাওবাদীদের সঙ্গেও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা— মোর্চার হাতে বিদেশি অস্ত্রও রয়েছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘মোর্চা নেতাদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছি। তবে মোর্চার বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠলেও, সরাসরি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। তেমন তথ্য পেলেই পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র।’’ এই কর্তার দাবি, কাশ্মীর হোক বা দার্জিলিং— সন্ত্রাস দমনে আপস করা হবে না।

GJM Militants NSCN মোর্চা Darjeeling Unrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy