Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Kanthi Tender Scam relating Soumendu Adhikari

শুভেন্দুর ভাইয়ের ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে কি চক্রান্ত হয়েছিল? রাজ্যের চ্যালেঞ্জে সাড়া দিলেন প্রধান বিচারপতি

কাঁথির শ্মশানের স্টল নির্মাণ-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পণ্ডাকে। অভিযোগটি ‘সাজানো’ কি না দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেয় কোর্ট।

Suvendu Adhikari\\\\\\\\\\\\\\\'s Brother Soumendu\\\\\\\\\\\\\\\'s close aid he had been a victim of conspiracy

এই মামলার কেন্দ্রে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৪
Share: Save:

রাজ্যের করা মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যকে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এই মামলার কেন্দ্রে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর এক ঘনিষ্ঠ— রামচন্দ্র পণ্ডা। স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগের তির ঘুরেছে সৌমেন্দুর দিকেও। কাঁথি পুরসভার একটি টেন্ডার সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনে এ-ও বলা হয়েছে, ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন সৌমেন্দুই ছিলেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। কিন্তু যিনি অভিযোগ এনেছিলেন, সেই ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলি পণ্ডা সম্প্রতিই আদালতকে জানান, তাঁকে ‘ভয় দেখিয়ে’ অভিযোগপত্রে সই করানো হয়েছিল। বিচারপতি মান্থার এজলাসে কাকলির বয়ান জানিয়ে পাল্টা মামলা করেন রামচন্দ্র। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা করার অনুমতি দিয়েছে।

অর্থাৎ সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সত্যিই হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তে এর পর বাধা পড়লেও পড়তে পারে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৪ নভেম্বর। কাঁথি পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে সৌমেন্দুর ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয় ওই দিন। তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভার শ্মশান সংস্কার সংক্রান্ত টেন্ডার নিয়ে অন্তত দেড় কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে এ কথাও বলা হয় যে, ওই দুর্নীতি যে সময় হয়, সেই সময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন সৌমেন্দু। এই ঘটনার সূত্র ধরে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু পরবর্তী কালে সৌমেন্দু এই মামলায় হাই কোর্টের রক্ষাকবচ পেলেও গ্রেফতার হন রামচন্দ্র।

গত ২৮ ডিসেম্বর ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলির অভিযোগের ভিত্তিতে ঠিকাদার রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিশ। পাল্টা রামচন্দ্র হাই কোর্টে জানান, গোটা বিষয়টাই ‘সাজানো’ এবং ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’। গত ৪ জানুয়ারি কাকলিও স্বীকার করে নেন, রামচন্দ্র যা দাবি করছেন, তা ঠিক। কাকলি আদালতকে এমনও বলেন যে, ২৫ ডিসেম্বর রাজ্যের এক প্রভাবশালী ‘জোর করে’ অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করান। তবে তিনি কে, তা জানাননি কাকলি। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কারণে তিনি ওই নাম আদালতকে জানাননি বলেও জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE