E-Paper

ক্লাস বয়কটের হুমকি চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের

চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ২০০২ সালে বেশ কিছু কলেজে উচ্চমাধ্যমিক স্তর উঠে স্কুলে চলে যায়। বহু মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে যোগ হয় উচ্চ মাধ্যমিক। তখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে অনেক স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক যোগ হল ঠিকই, কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৪৭

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এখন স্কুলের স্বার্থে এবং পড়ুয়াদের স্বার্থে তাঁরা স্কুলে নিয়মিত যাচ্ছেন। ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁরাও দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার। তাঁদের যদি বেতন না বাড়ানো হয়, তাহলে তাঁরাও এবার স্কুল বয়কটের পথে হাঁটবেন। এমনটাই জানালেন উচ্চ মাধ্যমিকের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উচ্চ মাধ্যমিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, বর্তমানে শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের জন্য সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা। কারণ সেখানে অনেক বিষয়ে একজন করে শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে সেই বিষয়টিই স্কুল থেকে উঠে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরাই অনেকটাই হাল ধরেছেন। তাহলে কেন তাঁরা দীর্ঘ বঞ্চনার শিকার হবেন?

চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ২০০২ সালে বেশ কিছু কলেজে উচ্চমাধ্যমিক স্তর উঠে স্কুলে চলে যায়। বহু মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে যোগ হয় উচ্চ মাধ্যমিক। তখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে অনেক স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক যোগ হল ঠিকই, কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এই পরিস্থিতিতে তখন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নেয় শিক্ষা দফতর। উচ্চ মাধ্যমিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকে এমনিতেই বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকের অভাব। এখন আবার কৃত্রিম মেধা, ডেটা সায়েন্সের মতো নতুন নতুন বিষয় যোগ হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক কম থাকায় আমরা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা সব সময়েই স্কুলের পাশে থেকেছি। কিন্তু আমাদের এখন মাসিক বেতন মাত্র ১৪,৭৭৫ টাকা। রাজ্য সরকারের অন্যান্য বিভাগে চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ সি বেতন ৩৯ হাজার টাকা এবং চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি-র বেতন ৩৭ হাজার টাকার মতো। সেখানে আমরা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়িয়েও কেন আমাদের বেতন মাত্র ১৪,৭৭৫ টাকা?’’

চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, শুধু পড়ানোই নয়, উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা থেকে শুরু করে ভোটের ডিউটি সবই তাঁদের করতে হয়। তাঁদের ক্লাসের সংখ্যা অনেক বে়ড়ে গেছে। কল্যাণ বলেন, ‘‘আমরা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতর সব জায়গায় বেতন বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাইনি। আমাদের কথা সরকার না ভাবলে আমরা স্কুল বয়কট করব।’’ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক কর্তা বলেন, ‘‘চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ওঁদের বিষয়ে শিক্ষা দফতর থেকে কোনও নির্দেশ এলে তা কার্যকর করব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Contractual Teachers Salary issues Bengal SSC Recruitment Verdict

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy