যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
রামমন্দির উদ্বোধনের দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাম পুজো এবং অযোধ্যার অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করার আয়োজন করেছেন এক দল পড়ুয়া। সেই অনুষ্ঠানের পোস্টারে অবশ্য কোনও উদ্যোক্তার নাম বা সংগঠনের নাম নেই। উদ্যোক্তা হিসেবে শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কথা বলা হয়েছে। এ-ও বলা হয়েছে যে আগামিকাল, সোমবার রাম পুজোর ব্যবস্থা হয়েছে চার নম্বর গেটের কাছে পার্কিং লটে। অযোধ্যা অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হবে গান্ধী ভবনের সামনে। যদিও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এমন কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি।
পোস্টারে নাম না থাকলেও নিজেকে উদ্যোক্তা হিসাবে দাবি করে সমাজতত্ত্ব বিভাগের স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সব্যসাচী সাহার দাবি, তাঁরা ডিন অব স্টুডেন্টস রজত রায়কে জানিয়েছিলেন। যদিও রজতের দাবি, এ বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার তাঁর নেই।
এই অনুষ্ঠানের বিষয়টি সামনে আসার পরে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশ প্রতিবাদ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে তাঁরা চিঠিও দিয়েছেন। শিক্ষক সমিতি ‘জুটা’-র পক্ষ থেকে সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্তকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন অনুষ্ঠান সমর্থনযোগ্য নয়। রেজিস্ট্রার জানান, বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় তা দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শনিবার রাতেই এ ব্যাপারে আধিকারিকেরা বৈঠক করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা সৌর্যদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার কোনও কর্মসূচি আমরা ক্যাম্পাসে হতে দিতে পারি না।’’ আগামিকাল, সোমবার এসএফআই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিল করবে এবং ‘জাতীয় সংহতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ বিষয়ে আলোচনাসভারও আয়োজন করা হয়েছে। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার আদর্শ বহন করছে। শান্তি-সম্প্রীতি-সৌহার্দ্যের পরিবেশ বিঘ্নিত করে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপের অনুরোধ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy