প্রতীকী ছবি।
তেহট্টের আক্রান্তের সঙ্গে লালগোলা প্যাসেঞ্জারের একই কামরায় ফেরা দুই ব্যক্তিকে তাঁদের পরিবার থেকে আলাদা করে রাখা হল কোয়রান্টিনে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই জনের বাড়ি লালগোলা কৃষ্ণপুর ভাটাপাড়ায়। শনিবার বিকেলে দু’জনের বাড়িতে যান লালগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং লালগোলা থানার পুলিশ। লালগোলা ব্লক প্রশাসনের লোকজনও। তার পরে সমস্ত নিয়ম মেনে দু’জনকে দু’টি আলাদা আলাদা অ্যাম্বুল্যান্সে শনিবার সন্ধ্যায় লালগোলা এমএন অ্যাকাডেমির একটি ঘরে কোয়রান্টিন করা হয়েছে।
রবিবার লালগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য সাহা বলেন, ‘‘ওঁরা দু’জন তেহট্টের আক্রান্তের সঙ্গে একই কামরায় এসেছেন। দু’জনেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনার মতো কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। তবে বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’
এই দু’জনেই পুণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ২০ তারিখে হাওড়ায় নেমে লালগোলায় ফেরত আসার জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে এসে সেখান থেকে সকাল ১০টা ২৮ মিনিটের আপ শিয়ালদহ লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চাপেন। তাঁরা ট্রেনের যে কামরায় ছিলেন, সেই কামরাতেই ছিলেন তেহট্টের আক্রান্ত ওই তরুণী। তারপর দু’জনই ২০ তারিখ বিকেলে লালগোলায় নামেন। ওই দিন দু’জনের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন আশাকর্মীরা। তার পরে গত দিন দু’য়েক আগে তেহট্টের ওই তরুণীর রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই খোঁজ পড়ে ঠিক কারা কারা ওই তরুণীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। নজর পরে লালগোলা প্যাসেঞ্জারের ওই কামরার উপরও। যে কামরায় ওই তরুণী ফিরছিলেন। তখনই পুলিশ খবর পায় ওই দু’জনের। বিকেলে বাড়িতে গেলে এক জন প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে মেনে নেন যে, তাঁরা এক কামরায় ছিলেন। দু’জনকেই কোয়রান্টিন করা হয়েছে। ওই দু’জন এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy