Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

সংক্রমণ- সুস্থতায় স্বস্তি দিয়ে রাজ্যে কমছে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত

সামনেই রয়েছে কালীপুজো, বড় দিন, নিউ  ইয়ারের মতো উৎসব-অনুষ্ঠান।  এই সব নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ২০:৪৩
Share: Save:

রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া কমছে। বাড়ছে সুস্থতার হার। সংক্রমণের হারও নিম্নমুখী। রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের প্রবণতায় এর সঙ্গে নতুন সংযোজন— সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে ধীরে ধীরে। আর এখানেই করোনা যুদ্ধে কিছুটা আশার আলো দেখছেন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা। তবে বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। সামনেই রয়েছে কালীপুজো, বড় দিন, নিউ ইয়ারের মতো উৎসব-অনুষ্ঠান। এই সব নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বৃহস্পতিবার বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৬ জন। বুধবার এই সংখ্য়া ছিল ১৬ জন বেশি— ৩ হাজার ৮৭২ জন। বৃহস্পতিবার মিলিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২০ হাজার ৮৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায় (৮৬৭)। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা (৮৫৯)।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বৃহস্পতিবার বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৬ জন। বুধবার এই সংখ্য়া ছিল ১৬ জন বেশি— ৩ হাজার ৮৭২ জন। বৃহস্পতিবার মিলিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২০ হাজার ৮৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায় (৮৬৭)। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা (৮৫৯)।

(গ্রাফে হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)

তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা এক লাফে পাঁচ জন বাড়ায় কিছুটা দুশ্চিন্তা বেড়েছে। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৫৪। এই নিয়ে রাজ্যে মোট কোভিডের বলি হলেন ৭ হাজার ৫০৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, সবচেয়ে বেশি। মৃত্যুর নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় মারা গিয়েছেন ১১ জন।

বেশ কিছু দিন ধরে বাড়ছে সুস্থতার হারও। বৃহস্পতিবারও সেই প্রবণতা বজায় রয়েছে। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ৪৫৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। গত ৩০ অক্টোবর থেকেই রাজ্যে দৈনিক সুস্থতা ৪ হাজারের ঘরে ঘোরাফেরা করছে। মোট আক্রান্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৯৬ জন রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯০.৫৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ৯০.৩৪ শতাংশ।

বেশ কিছু দিন ধরে বাড়ছে সুস্থতার হারও। বৃহস্পতিবারও সেই প্রবণতা বজায় রয়েছে। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ৪৫৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। গত ৩০ অক্টোবর থেকেই রাজ্যে দৈনিক সুস্থতা ৪ হাজারের ঘরে ঘোরাফেরা করছে। মোট আক্রান্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৯৬ জন রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯০.৫৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ৯০.৩৪ শতাংশ।

প্রতি দিন যত সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৩৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই হিসেবে বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৮.৬৯ শতাংশ। বুধবার এই হার ছিল ৮.৭৭ শতাংশ। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ১৩১।

প্রতি দিন যত সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৩৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই হিসেবে বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৮.৬৯ শতাংশ। বুধবার এই হার ছিল ৮.৭৭ শতাংশ। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ১৩১।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে বাকি জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলি ঘিরে। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৩১ জন, হুগলিতে ২৬১ জন এবং হাওড়ায় ১৯১ জন নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও যে জেলাগুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শতাধিক মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন, সেগুলি হল— পশ্চিম মেদিনীপুর (১৮০),নদিয়া (১৭৯),দার্জিলিং (১৩৯), জলপাইগুড়ি (১৩৩),পূর্ব মেদিনীপুর (১১৪), এবং কোচবিহার (১০১)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE