গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
মাত্র এক দিনেই রাজ্যে করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে সাড়ে ৭০০-র গণ্ডি পার করল। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সংক্রমণ বেড়ে প্রায় ৪০০ হয়েছে। কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় জেলায় তা শতাধিক ছাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত রয়েছেন ৫ জন। যদিও সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতার বাসিন্দা ৩৮২ জন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১০২ জন। অন্য দিকে, হাওড়ায় ৫৮ জন কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হুগলিতে ৪১ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৩৮ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট ১৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৮১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৭ হাজার ৪৫৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণ বা়ড়লেও এর হার কমে হয়েছে ২.৩৫ শতাংশ।
দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। এর পর ধীরে ধীরে তা কমলেও কলকাতা পুরভোটের প্রচারে দূরত্ববিধি উড়িয়ে আম জনতার ভিড় দেখা গিয়েছে। শনিবার, বড়দিনের রাতে মাস্ক ছাড়াই শহরে বাসিন্দাদের ঘুরে বেড়ানোর ছবি দেখেও আঁতকে উঠেছেন অনেকে। করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনের সংক্রমণের আবহে এই প্রবণতা যে বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা করছেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, সোমবারের স্বাস্থ্য বুলেটিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩৯। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে সাড়ে ৭০০-র বেশি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এ রাজ্যে ৬ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, রাজ্যে দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা আগের দিনের থেকে বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ২২৩ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এক দিনে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৩২ হাজার ১৬টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তার মধ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ২ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১৯ হাজার ৭৩৩ জন রোগী মারা গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy