ফাইল চিত্র।
রবিবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত এক ধাক্কায় বেড়ে সাড়ে তিনশোর গণ্ডি টপকে ছিল। সোমবার আবার তা কমে নামল আড়াইশোর নীচে। তবে দৈনিক সংক্রমণের হার এক লাফে বেড়ে ছাড়াল চার শতাংশ। মাস চারেক আগে শেষ বার চার শতাংশের উপরে নথিভুক্ত হয়েছিল দৈনিক সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যুও হয়েছে এক জন কোভিড রোগীর। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও (অ্যাক্টিভ রোগী) বেড়ে দু’হাজার ছাড়াল।
বিগত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। মাস তিনেক পর গত ১০ জুন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত একশো ছাড়িয়েছিল। তার পর থেকে তা ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬২। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২২৪ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২২ হাজার ১৪১ জন। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে এক কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু ২১ হাজার ২০৯ জনের। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৪.১৯ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ৩৪১ জনের। রাজ্যে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ২ হাজার ৪৪।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy