গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা কমেছে ৬ হাজারের বেশি। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও। যা গত ২৩ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। ওই দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৮৭৬ জন। তবে বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণের হার কিন্তু ২৮ শতাংশের উপরেই রয়েছে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যে গত কয়েক দিন ধরেই সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমছে। বৃহস্পতিবারও সেই প্রবণতা বজায় রয়েছে। বুধবারের তুলনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬ হাজারের বেশি।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৬ জন। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এমন ছবি দেখা যাচ্ছে এক মাসেরও বেশি সময় পর। এর ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৩ লক্ষ ৩১ হাজার ২৪৯ জন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা (২,৯৭৫) এবং কলকাতা (১,৪৮৯)। এ ছাড়াও এক হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১,০৯৪) এবং হাওড়া (১,০৪৯)-য়। পাঁচশোর বেশি আক্রান্ত দার্জিলিং (৭১০), নদিয়া (৬৯১) পশ্চিম বর্ধমান (৬৮৪), জলপাইগুড়ি (৬৮২) এবং হুগলি (৫৯৬)-তে।
বুধবার রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছিল ৬৩ হাজার ৯৭৬ জনের। বৃহস্পতিবার অবশ্য তা কিছুটা কম হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ হাজার ১৬৫ জনের। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ। ফলে সংক্রমণের হার ২৮.৩৮ শতাংশ। মোট সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ১০.৯৩ শতাংশে।
আরও পড়ুন:
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৪ হাজার ৯৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনাতেই মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। ৩২ জন মারা গিয়েছেন কলকাতায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৯ হাজার ১২১ জন। তার জেরে রাজ্যে মোট সুস্থের সংখ্যা এখন ১১ লক্ষ ৯৯ হাজার ১২০। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১৫৪ জন। যা বুধবারের থেকে ৬ হাজার ২২৩ কম।
সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ অন্যতম দাওয়াই বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ হাজার ১৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।