ছবি: পিটিআই।
ফের আক্রান্ত করোনা-যুদ্ধের প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ চিকিৎসক, ৫ নার্স এবং ২ স্বাস্থ্যকর্মী। এঁরা প্রত্যেকেই সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। অন্য দিকে, মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। যাঁর শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
তবে সরকারি হাসপাতালে পর পর চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় কর্মী সঙ্কটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চার জন নার্স এবং এক জন জুনিয়র চিকিৎসকের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এই নার্সরা প্রত্যেকেই প্রসূতি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি এক রোগিণীর দেহে সম্প্রতি কোভিড-১৯ ভাইরাস পাওয়া যায়। সেখান থেকেই গোটা বিভাগে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও আক্রান্ত হয়েছেন চার চিকিৎসক।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এক স্নাতকোত্তর ট্রেনি চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। তিনি কার্ডিওলজি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও, আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্মরত এক নার্স এবং এক স্বাস্থ্যকর্মীর লালারসের নমুনাও পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। আরও এক স্বাস্থ্যকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে গার্ডেনরিচ হাসপাতাল থেকে। ওই হাসপাতালে এর আগে এক নার্স কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন।
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পর পর চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। এ দিন মেডিক্যাল কলেজের সুপার, প্রিন্সিপাল এবং বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। কারণ পর পর জুনিয়র চিকিৎসকরা আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকের শেষে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করার সময় আরও বেশি সুরক্ষা বিধি পালনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কাজের সময় কোভিড চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা যাতে অন্যদের সংস্পর্শে না আসেন, সে দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ দিন দুপুরে মৃত্যু হয় ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি বার্ধক্যজনিত রোগ এবং আরও কয়েকটি জটিল সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন থাকার সময়েই তাঁর শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। সরকারিবিধি মেনেই শেষকৃত্য হবে ওই ব্যক্তির। তবে মৃত্যুর কারণ কোভিড না অন্য কিছু সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার নিযুক্ত চিকিৎসকদের অডিট কমিটি। এ রকম আরও একটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে হাওড়ার সত্যবালা আইডি হাসপাতালে। ওই মৃত্যুর বিষয়েও খতিয়ে করছে অডিট কমিটি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ১৫, সক্রিয় আক্রান্ত পৌনে তিনশো
আরও পড়ুন: রাস্তায় নেমে লকডাউন নিয়ে সচেতনতা প্রচার মুখ্যমন্ত্রীর
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy