Advertisement
E-Paper

নিষেধ উড়িয়ে আত্মীয়ের বাড়ি ঘোরার নালিশ

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পেশায় দর্জি ওই ব্যক্তি ৯ এপ্রিল ভোরে কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে সস্ত্রীক মোটরবাইকে গ্রামে ফেরেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৩২
গ্রামে ঢোকা-বেরনোর পথ আটকেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

গ্রামে ঢোকা-বেরনোর পথ আটকেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রথম করোনাভাইরাস পজ়িটিভ পাওয়া গেল খণ্ডঘোষে। শনিবার রাতেই দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওই ব্যক্তিকে। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি কোভিড ১৯-এর উপসর্গ নিয়ে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

রবিবার দুপুরে জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, “২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এক জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে ভিন্ রাজ্যের কোনও যোগ পাওয়া যায়নি।’’ পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, গ্রামটিকে ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ বাইরে বেরোতে পারবেন না, বাইরে থেকে ঢুকতেও পারবেন না। গ্রামের বাসিন্দাদের অত্যাবশকীয় সামগ্রী সরবরাহের বিষয়টি প্রশাসন দেখবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পেশায় দর্জি ওই ব্যক্তি ৯ এপ্রিল ভোরে কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে সস্ত্রীক মোটরবাইকে গ্রামে ফেরেন। আন্তঃজেলা সীমান্তগুলি নিয়ে তখনও কড়াকড়ি শুরু হয়নি। পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তি হুগলি হয়ে শহরের ভেতরের রাস্তা, মাঠ দিয়ে গ্রামে এসে পৌঁছন। সিভিক ভলান্টিয়ার ও আশাকর্মীরা তাঁকে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার পরামর্শ দেন। বাড়ির বাইরে বার হতে নিষেধ করেন। অভিযোগ, সেই পরামর্শ না মেনে খণ্ডঘোষেরই তিনটে পঞ্চায়েত এলাকায় আত্মীয়দের বাড়িতে যান তিনি। বুধবার রাতে ফেরেন সেখান থেকে। এলাকার আশাকর্মীর কাছ থেকে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ তাঁকে বৃহস্পতিবার তুলে নিয়ে এসে সরাসরি গাংপুরের ওই হাসপাতালে ভর্তি করায়। শনিবার দুপুরে নাইসেড থেকে রিপোর্টে জানা যায়, তিনি করোনা সংক্রমিত।

এ দিন সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ওই গ্রামে যান জেলার পুলিশ সুপার ও অন্য পুলিশ কর্তারা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিপোর্ট আসার পরেই ওই ব্যক্তি কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তার খোঁজ শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, অবাধে মেলামেশা করেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর এক ভাই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা। তিনিও নিয়মিত ভাবে গ্রামের দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। শনিবার রাতেই ওই ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন এমন ৩১ জনকে খুঁজে বার করে ‘কোয়রান্টিন’-এ পাঠানো হয়েছে। নিকট আত্মীয়দের বর্ধমানের গাংপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এ দিন সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন করোনাভাইরাস সংক্রান্ত রাজ্যের পর্যবেক্ষক রাজেশ সিংহ। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “বাড়ি বাড়ি ঘুরে রিপোর্ট তুলে আনার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। কী কী সমস্যা রয়েছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: অভিনয়ে ভুয়ো খবর প্রচার, গারদে যুবক

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy