ছবি: সংগৃহীত।
নানা জটিলতার পরে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রফতানি ফের চালু হয়েছে। কিন্তু শুরুতেই জটিলতা। রফতানি বন্ধের দাবি তুললেন লোডিং-আনলোডিংয়ে যুক্ত শ্রমিকেরা। একই দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাপরিষদের মেন্টর গোপাল শেঠ জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রফতানি বন্ধ করার কথা না বললেও লকডাউন শুরুর পরে রাজ্যের এ ব্যাপারে আপত্তি ছিল। মূলত সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এই যুক্তিতেই কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয় রফতানির কাজ। বিষয়টি ভাল চোখে দেখেনি কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ফের এক চিঠিতে রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ট্রাক বাংলাদেশে পাঠাতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। কী ভাবে সংক্রমণের আশঙ্কা কমিয়ে কাজ শুরু হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরুও হয় কাজ।
কিন্ত শনিবার সকালে শ্রমিকেরা সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ কর্পোরেশনের গেটের বাইরে যশোর রোডে বিক্ষোভ দেখান। ট্রাক লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি অমিতকুমার বসু বলেন, ‘‘কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে পণ্য রফতানি শুরু করেছেন।’’ গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘ওপারে বাংলাদেশের জেলাগুলিতে করোনা ছড়িয়েছে। এখনই পণ্য রফতানির কাজ বন্ধ করা না-হলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।’’
সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্র বলার পর থেকে তিন-চারটি করে ট্রাক পেট্রাপোলের দিকে যাচ্ছে। জ়িরো পয়েন্টে লোডিং-আনলোডিং হচ্ছে। এখন সমস্যা হল, বাংলাদেশে পণ্য নামিয়ে কোনও রকম স্যানিটাইজ় ছাড়াই চালক-খালাসিরা এ রাজ্যে চলে আসছেন। যদিও পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্টের ম্যানেজার শুভজিৎ মণ্ডলের দাবি, ‘‘বাংলাদেশের শ্রমিকেরা ভারতে প্রবেশ করছেন না। ফলে এখানে সংক্রমণের আশঙ্কা নগণ্য।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy