স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে নাকি কলকাতা হাই কোর্টে, সেই সংক্রান্ত শুনানি বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। সওয়াল-জবাব পর্ব শেষে রায় দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো চাকরি বাতিল, বেতন ফেরত ও উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) প্রকাশের নির্দেশ পালন না করায় শিক্ষা দফতর ও এসএসসি-র বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষা দফতরের কৌঁসুলিরা দাবি করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে হাই কোর্ট এই মামলা শুনতে পারে না।
এই মামলায় রাজ্যের শিক্ষা দফতরের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, যে-হেতু পুরো প্যানেল বাতিল করে হাই কোর্টের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে তা-ই এই ক্ষেত্রে অবমাননার মামলা হাই কোর্ট শুনতে পারে না। শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টই শুনতে পারে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম বন্দোপাধ্যায় এবং ফিরদৌস শামিমের যুক্তি ছিল, হাই কোর্টের নির্দেশগুলি একত্রীকরণ করে কয়েকটি নির্দেশ সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট। বাকি নির্দেশ অপরিবর্তিত ছিল। তাই অবমাননার মামলা শুনতে পারে
হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিলের রায় দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য আবেদন করলেও হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যায় ২০১৬ সালের এসএসসি-র সম্পূর্ণ প্যানেল। যদিও পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সংশোধনের আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে, যাঁরা 'দাগি' (টেন্টেড) নন, তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং বেতনও পাবেন। আগামী ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মত তারা চলতি বছরেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করবে। এই সংশোধিত নির্দেশ যদিও বাতিল হওয়া গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদের শিক্ষাকর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)