চিড়িয়াখানায় উপচে পড়েছে ভিড়। এ দৃশ্য আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেখা যাবে না। ফাইল চিত্র।
শীতের ছুটি কাটাতে পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন চিড়িয়াখানা বা কাছাকাছি কোনও বিনোদন পার্কে যাবেন, আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘরে বসেই কাটাতে হবে। কারণ রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে সোমবার থেকে সমস্ত বিনোদন পার্ক, চিড়িয়াখানা এবং পর্যটনস্থলগুলি বন্ধ থাকবে।
রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি বিশাল উদ্বেগের জায়গায় পৌঁছেছে। শনিবারেই দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে চার হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মাত্র ছ’দিনে ১০ গুণ সংক্রমণ বেড়েছে। শুধু কলকাতাতেই দৈনিক সংক্রমণ দু’হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংক্রমণের ছবি যে ক্রমেই উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছচ্ছে তা আঁচ করেই বিধিনিষেধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার একগুচ্ছ বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে নবান্ন। যার মধ্যে রয়েছে বিনোদন পার্ক, চিড়িয়াখানা এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলি।
কোভিডের সংক্রমণ যখন ভয়াবহ ভাবে বাড়ছে, সেই সময়েও রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র, বিনোদন পার্ক এবং চিড়িয়াখানায় শিউরে ওঠার মতো ভিড়ের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
দিঘার সৈকত থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা— বর্ষবরণে পর্যটনস্থলগুলোয় এ বারও দেখা গিয়েছে থিকথিকে ভিড়। কোথাওই ছিল না দূরত্ববিধি মানার কোনও বালাই। শুধু তাই নয়, কারও মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুতনির নীচে, কারও আবার হাতে সেটা ঝুলছে। আবার অনেকের তো মাস্কই ছিল না।
পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর পয়লা জানুয়ারিতে আলিপুর চিড়িয়াখানায় আগের বছরের তুলনায় দু’হাজার বেশি মানুষ ভিড় করেছিলেন। এ বছর ৫৩ হাজার মানুষ চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলেন ১ জানুয়ারি। তার ঠিক পাঁচ দিন আগে, একুশের ২৬ ডিসেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানায় পা পড়েছিল ৭০ হাজার মানুষের। আবার ভারতীয় জাদুঘরে ভিড় জমিয়েছিলেন ছ’হাজার মানুষ। তবে সর্বাধিক জনসমাগম হয়েছিল নিউটাউনের ইকো পার্কে। সেখানে মাস পয়লায় হাজির হয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৯৭৫ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy