রাতভর বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে পড়ে রইল দেহ।
সাত দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত ছেলে শয্যাশায়ী। সেই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে আচমকাই বাবার মৃত্যু হল শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে, করোনা উপসর্গ নিয়ে! তাই আতঙ্কে দেহের কাছে ঘেঁষলেন না কেউই! ফলে রাতভর বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে পড়ে রইল দেহ।
মৃত বৃদ্ধ পঞ্চানন ঘোষের (৭০) পরিবারের সদস্যেরা বৃহস্পতিবার সকালে দেহ শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুপুরে পুরসভার শববাহী গাড়ি এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। ধূপগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দোলাপাড়া এলাকার এই ঘটনা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গোটা এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ।
মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলরকে ফোন করা হলেও তিনি আসেননি এলাকায়। এমনকি, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করেও ফল মেলেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ধূপগুড়ি টাউন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দেবদুলাল ঘোষ এবং ডিওয়াইএফআই নেতা নির্মাল্য ভট্টাচার্য। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় ধুপগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিংহকে।
১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর পুরসভার গাড়িতে ‘রেড ভলান্টিয়ার’রা এসে দেহ ধূপগুড়ি শ্মশানে নিয়ে যান। মৃতের করোনা পরীক্ষা হয়নি। শ্বাসকষ্ট সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু হলেও সাধারণ ভাবেই শ্মশানে সৎকার করা হয়। রাজেশ বলেন, ‘‘যেহেতু করোনা পরীক্ষা হয়নি, তাই রিপোর্ট নেগেটিভ ধরেই দেহের সৎকার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy