গোটা দেশের সঙ্গে বাংলাতেও ফের করোনা টিকার মহড়া শুরু হল। প্রতিটি জেলার ৩টি করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতালে টিকামহড়া বা ড্রাই রান চলবে। ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে এই ‘নকল টিকা’ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতার এনআরএস-সহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে এই মহড়া শুরু হয়েছে। ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী এই মহড়ায় অংশ নিয়েছেন।
ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে ‘কোভিশিল্ড’ উৎপাদনের বরাত পেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’-ও রয়েছে ভারতের কাছে। জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য এই ২ প্রতিষেধককেই অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। শুক্রবারই ওই দু’টি প্রতিষেধকের বাংলায় পৌঁছনোর কথা।
তার আগে রাজ্য জুড়ে চলছে মহড়া। মোট ৩টি ধাপে মহড়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে। প্রথমে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সকলের। সেগুলি একটি সফ্টওয়্যারে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। তার পরই শরীরে প্রয়োগ করা হবে মারণ ভাইরাসের ‘নকল’ প্রতিষেধক। টিকাপ্রদানের পর কিছু ক্ষণের জন্য চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই থাকবেন অংশগ্রহণকারীরা।